অতিরিক্ত ওজন কমাবে ‘অ্যাকোয়া যোগা’

SHARE

jog1অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় এক্সারসাইজ করতে অসুবিধা হয়? কিংবা চোট আঘাতের কারণেও সবরকমের এক্সারসাইজ করা মানা৷ তাহলে অ্যাকোয়া যোগা আপনার পারফেক্ট ফিটনেস রুটিন হতে পারে৷

যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা নিয়ে এখন আর আলাদা করে প্রশ্ন নেই৷ তবে এটাও ঠিক সবাই যোগ ব্যায়াম সহজেই আয়ত্ত করে উঠতে পারেন না৷ যোগ ব্যায়ামের পশ্চারগুলি সঠিকভাবে অভ্যাস করতে না পারলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

তাছাড়া সব ধরনের পশ্চার সকলের পক্ষে অভ্যাস করা সম্ভব নাও হতে পারে৷ তাই যোগব্যায়াম যাতে সহজেই সকলের ফিটনেস রুটিনের অঙ্গ হতে পারে, সেই জন্যই তার নতুন নতুন আঙ্গিক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে৷ ঠিক সেইরকমই একটি সহজ আঙ্গিক হলো ‘অ্যাকোয়া যোগা’৷ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই এক্সারসাইজের সঙ্গে পানির একটা সম্পর্ক আছে৷ ঠিকই ধরেছেন৷ ‘অ্যাকোয়া যোগা’ বা ‘ওয়াটার যোগা’-র ক্ষেত্রে সমস্ত এক্সারসাইজ পানির মধ্যেই দাঁড়িয়ে করতে হয়৷

যোগব্যায়ামের উপকারিতা তো পাবেনই৷ সঙ্গে ওয়াটার থেরাপির সমস্ত উপকারিতাও বোনাস হিসেবে পাবেন৷

কেন বেছে নেবেন ‘অ্যাকোয়া যোগা’? কারণ অনেকেই অতিরিক্ত ওজনের কারণে সব ধরনের এক্সারসাইজ করতে পারেন না৷ ওবেসিটির কারণে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নাড়াতে অসুবিধা হয়। তবে জলের মধ্যে সেই এক্সারসাইজগুলোই সহজেই করে ফেলা যায়।

তার কারণ জলের মধ্যে প্রেশার পয়েন্ট বেশি হওয়ার কারণে হাত পা নাড়াতে খুব একটা অসুবিধা হয়না৷ ভারসাম্যও বজায় রাখতে অসুবিধা হয়৷ একই কারণে যাদের চোট আঘাত রয়েছে তাদেরও এই বিশেষ এক্সারসাইজটি করা উচিত্৷ তাতে নতুন করে চোট আঘাত লাগার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই৷ যারা আর্থাইটিসের মতো অসুখে ভুগছেন, তারা এই এক্সারসাইজ করলে ব্যথা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন৷

তাছাড়া ‘অ্যাকোয়া যোগা’ নিয়মিত অভ্যাস করলে শরীরের নমনীয় ভাব ফিরে আসে৷ ফলে চটপট ওজন কমে৷ শরীরও স্বাভাবিকভাবেই টোনড হয়ে ওঠে৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে৷

শুধু তাই নয়, জলের মধ্যে এক্সারসাইজ করার অন্যতম উপকারিতা হলো, ক্লান্তি দূর করতে এর জুড়ি নেই৷ গরমকালে এমনিতেই এক্সারসাইজ করতে ক্লান্ত লাগে৷ জলের মধ্যে এক্সারসাইজ করলে কিন্তু আর ক্লান্ত লাগবে না৷

বরং শরীরের মাসলগুলি রিল্যাক্সড হয়ে যাওয়ার ফলে শরীর চনমনে থাকবে৷ যারা স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদে ভুগছেন, তারাও কিন্তু ‘অ্যাকোয়া যোগা’-র সাহায্য নিতে পারেন৷উপকার পাবেন৷ এমনকি ইনসমনিয়ায় ভুগলেও এই ফিটনেস রুটিন নিয়মিত অভ্যাস করলে উপকার পাওয়া যাবে৷

আগেই বলেছি ‘অ্যাকোয়া যোগা’ অভ্যাস করলে ওয়াটার থেরাপিরও উপকার পাওয়া যায়৷ সুতরাং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও এই বিশেষ এক্সারসাইজ সাহায্য করে৷

অ্যাকোয়া যোগার জন্য কিন্তু আলাদা পুলের ব্যবস্থা থাকতে হয়৷ নির্দিষ্ট উষ্ণতার পানির মধ্যে এক্সারসাইজ করলে তবেই সমস্ত রকমের উপকারিতা পাবেন৷ অবশ্যই কোনও ট্রেণারের অধীনে এক্সারসাইজ করা উচিত্৷ যদি শ্বাস কষ্টের সমস্যা থাকে তবে এই এক্সারসাইজটি শুরু করার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত্৷ একই পরামর্শ দেওয়া হয় যাদের স্লিপ ডিস্কের সমস্যা আছে তাদেরও৷ এক্সারসাইজের জন্য পুলের পানি অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে৷ না হলে ত্বক জনিত সমস্যা হতে পারে৷