গাজায় অবস্থিত সব ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি শিবিরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে একে আধুনিক বন্দিশিবিরের সঙ্গে তুলনা করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রাফাহ শহরের ধ্বংসাবশেষের ওপর একটি ‘মানবিক শহর’ প্রতিষ্ঠা করতে চান।
শহরটি পুরো ২১ লাখ জনসংখ্যার জন্য হলেও সেখানে প্রাথমিকভাবে ছয় লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করতে পারবেন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা তল্লাশির পর মানুষজনকে এই শহরের ভেতরে আনার লক্ষ্য ছিল যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা হামাসের কর্মী নয় এবং তাদের আর সেখান থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।
যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে তাহলে ইসরায়েল ও হামাসের ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সমঝোতা চেষ্টা করা হবে। ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড এটিকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পরিকল্পিত অভিযান’ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
গার্ডিয়ানকে তিনি বলেছেন, ‘জনগণকে যাতে এই উপত্যকার বাইরে নির্বাসনে পাঠানো যায়, তারই প্রস্তুতির অংশ গাজার দক্ষিণ প্রান্তে জনগণকে স্থানান্তর।’
এর আগে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অধিকৃত ভূখণ্ডের বেসামরিক জনগোষ্ঠীর নির্বাসন বা জোরপূর্বক স্থানান্তর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং ‘জাতিগত নির্মূলের সমতুল্য’। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অথবা হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।