গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে একটি কঠোর আইন পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। সোমবার (১৪ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
সংশোধিত এই আইনে বলা হয়, শত্রু রাষ্ট্রের হয়ে গোয়েন্দা তৎপরতায় জড়িত থাকলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে এবং সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যাবে। শত্রু রাষ্ট্র নির্ধারণে ক্ষমতা থাকবে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের।
নতুন আইনে আরও বলা হয়, কোনো শত্রু রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত বা সামরিক সহায়তা দেয়াও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এসব অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়াও সংশোধিত মূল প্রস্তাবের আরেকটি অনুচ্ছেদে জনসাধারণের মধ্যে বিভাজন বা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে শত্রু বা বিদেশি নেটওয়ার্কগুলোতে যারা তথ্য বা ভিডিও পাঠায় তাদের শাস্তি নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এদিকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের যে আলোচনা চলছে, তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম ব্যবহারের কোনো আইনি বা রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের কোনো পদক্ষেপ নিলে, ইরান তার পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা এখনও খোলাসা করেনি ইরান।
তিনি আরও বলেন, স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া ব্যবহারের হুমকির কোনো আইনগত বা রাজনৈতিক ভিত্তি নেই এবং এর জবাবে ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্র উপযুক্ত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেবে।
সূত্র: রয়টার্স