ভারত-চীন সম্পর্কের মূল ‘কাঁটা’ তিব্বত ইস্যু!

SHARE

তিব্বত ইস্যু ভারত-চীন সম্পর্কের মূল কাঁটা। এমনই বার্তা দিয়েছে বেইজিং। ভারতীয় কূটনৈতিক মহলকে আরও সংবেদনশীল হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।

তিব্বত ইস্যুই ভারত-চীন সম্পর্কের মূল কাঁটা বলে কড়া বার্তা দিয়েছে চীনা দূতাবাস। দালাই লামার ৯০তম জন্মদিনে ভারতীয় মন্ত্রীদের অংশগ্রহণ এবং তার মন্তব্যের পরই এ কথা বলেছে বেইজিং। এ বিষয়ে ভারতের কূটনৈতিক মহলের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশটি।

দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচনে চীনের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেন নির্বাসিত তিব্বতি ধর্মগুরু। ভারতের ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে বসেই তিনি জানান, পরবর্তী দালাই লামা নির্ধারণ করবেন শুধুমাত্র তিব্বতী বৌদ্ধরা। চীনা দূতাবাস এরমধ্যেই এ ইস্যুকে ভারত-চীন সম্পর্কের কাঁটা বলে মন্তব্য করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশটির দূতাবাস জানায়, তিব্বত সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে অন্য দেশের কিছু বলার অধিকার নেই।

চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ভারতের কিছু কৌশলগত ও গবেষণা মহল দালাই লামার পুনর্জন্ম নিয়ে যে মন্তব্য করছেন, তা অবাঞ্ছিত। তিনি আরও দাবি করেন, এ ধরনের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সংশ্লিষ্টদের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত। চীন এই বিষয়ে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।

বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার তিব্বতি শরণার্থী ভারতে বসবাস করছেন। ভারতের ধর্মশালায় রয়েছে তিব্বত সরকারের নির্বাসিত সদর দফতরও। বহু কূটনীতিক বলছেন, দালাই লামার উপস্থিতি ভারতকে চীনের বিপরীতে কৌশলগত সুবিধা দেয়। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ধর্ম ও বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো অবস্থান নেয় না।

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ১৫ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিয়েনজিন শহরে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি। বৈঠকের ফাঁকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষের পর এটিই হতে যাচ্ছে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সফর।