প্যারিসে স্বামীর নামে ‘প্রেম তালা’ লাগিয়ে দিলেন মেহজাবীন

SHARE

প্রেমিক পরিচালক-প্রযোজক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন বাংলাদেশের অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। শহরের কাছাকাছি এক রিসোর্টে বসে ছিল বিয়ের আসর। ১৩ বছর আগে দেখা মানুষটিকেই বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী।

এবার মেহজাবীন নিজদের ভালোবাসাকে তালাবন্দি করলেন, যেন এই ভালোবাসার তালা কখনোই খুলে না যায়।
কেননা তালার চাবি কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবে না, চাবি পড়ে রয়েছে নদীর তলদেশে।

ঢাকাই শোবিজের পরিচিত মুখ মেহজাবীন ফ্রান্সের একটি নদীর ব্রিজে নিজের ও স্বামী আদনান আল রাজীবের নাম লিখে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। সেই তালার চাবি ফেলে দিয়েছেন নদীতে। এরই কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে।
ক্যাপশনে লিখেছেন লক।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের এই সেতুর রেলিং-এ প্রেমিক-প্রেমিকারা তাদের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে তালা লাগিয়ে দেন। সাইন নদীর উপর ‘পঁ দে আর্টস’ সেতুতে ‘প্রেম তালা’ লাগিয়ে চাবি নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এই সেতুতেই তালা লাগিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।

মেহজাবীন কখন এই তালা লাগিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। কেননা সম্প্রতি তিনি ইউরোপ ভ্রমণের ছবি পোস্ট করছেন। একদিন ইতালির মিলান শহরে ঘোরার ছবি পোসক্সট করলেন। তাঁর আগে দিলেন সুইজ্যারল্যান্ডে ঘোরার ছবি। কিছুদিন আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন, এই ভ্রমণ তখনকার নাকি, জানা যায়নি।

এদিকে, বিয়ে ও সম্পর্ক নিয়ে মেহজাবীন বলেছিলেন, ‘৯ এপ্রিল ২০১২-এ মিষ্টি হাসির একটি ছেলের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তখন যে বাড়িতে শ্যুটিং হচ্ছিল তার বারান্দায় আমি দাঁড়িয়েছিলাম। তখন তিনি রাস্তা থেকে আমার দিকে তাকিয়ে হাত নেড়েছিলেন।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, আমরা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য কথা বলেছিলাম। তারপর হাত মিলিয়ে ছিলাম। তবে সেদিন তিনি চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি মনে মনে অনুভব করেছিলাম যে, আমার মনের একটা টুকরো ও ওর সঙ্গে করে নিয়ে চলে গিয়েছে।’

নায়িকার কথায়, ‘তারপর দেখতে দেখতে ১৩ টা বছর। আমরা একসঙ্গে বড় হলাম, একে অন্যের প্রতিটা সাফল্য সাক্ষী রইলাম, উদযাপন করলাম, প্রতিটা বাধা পার করলাম একসঙ্গে। শোনা যায় সাত বছরের বন্ধুত্ব নাকি সারাজীবনের হয়, আমরা তো প্রায় তার দ্বিগুণ সময় কাটিয়ে ফেললাম।’

যাইহোক, ‘প্রেম তালা’ লাগিয়ে দেওয়ার পর ভক্তরাও আশা প্রকাশ করছেন এই তালা যেন কখনোই না খোলে, আর ভাঙতেও না হয়।