কামারুজ্জামানের রায়ের সার্টিফাইড কপি পেলেন আইনজীবীরা

SHARE

kamruzzamanমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপি পেয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা সার্টিফাইড কপি হাতে পেয়েছেন। বিষয়টি জানান কামারুজ্জামেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মো. মনির।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫৭৯ পৃষ্ঠা সম্বলিত কামারুজ্জামানের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ৩ নভেম্বর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।

বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সোহাগপুরে গণহত্যার দায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ফাঁসির রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। রায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা বিভক্ত রায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

একই সঙ্গে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনিত গোলাম মোস্তফাকে হত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সব বিচারপতিদের সর্বসম্মতিক্রমে এ দণ্ড দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ৬ জুন ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন কামারুজ্জামান। আপিলে ২৫৬৪টি মূল ডকুমেন্ট, ১২৪টি গ্রাউন্ডসহ সর্বমোট ১০৫ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট জমা দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া বাকি দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে তাকে খালাস দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৩ জুলাই কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছর ২ আগস্ট তাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।