ভারতের বড় জয়

SHARE

dewanমেলবোর্নের উইকেট বলে কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার আগুন ঝরা পেস বোলিংয়ের বিপরীতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের লড়াই। ম্যাচকে ঘিরে চিত্রটা হয়তো এমনই কল্পনা করেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

কিন্তু বাস্তবে তেমন রোমাঞ্চের দেখা মিলেনি। তার পেছনে উইকেটের অবদান অনেক বড়। এমসিজির উইকেট রোববার ব্যাটিং সহায়ক রুপেই আর্বিভূত হয়েছে। যার ফলে ভারতের ব্যাটিং শৈলীর বিপরীতে ডেল স্টেইনদের গতি, সুইং, বাউন্সের প্রদর্শনী দেখা যায় নি। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলে গেছেন ভারতের ব্যাটসম্যানরা।

রানের চাপে কূল হারিয়ে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানে হেরেছে ভারতের কাছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম প্রোটিয়াদের হারালো ভারত। যা ধোনিবাহিনীকে এনে দিল টানা দ্বিতীয় জয়।

শেখর ধাওয়ানের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩০৭ রান করে ভারত। জবাবে ৪০.২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা । শেখর ধাওয়ান ম্যাচ সেরা হন।

৩০৮ রানের টার্গেটটা অনাতিক্রম্য ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। তবে এমন রান তাড়া করতে গেলে ইনিংসের গোড়া থেকে যেই শুরুটা প্রয়োজন তা পায়নি প্রোটিয়ারা। ১২ রানে শামির বলে কোহলিকে ক্যাচ দিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। নির্ভরতার প্রতীক আমলাও (২২) ফিরে গেছেন দলীয় ৪০ রানে মোহিত শর্মার শিকার হয়ে। ডু প্লেসিস ও অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সের জুটি কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিল। ৬৮ রানেই এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ডি ভিলিয়ার্স রান আউট হলে। তিনি ৩০ রান করেন।

ইনিংসের শুরু থেকেই সংগ্রাম করা ডু প্লেসিসকে থামান মোহিত শর্মা। তিনি ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছিলেন মিলার-ডুমিনি। রোববার দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন দলের প্রয়োজনে ইনিংসের হাল ধরতে। মিলার ২২ রান করলেও ডুমিনি ৬ রানেই ফিরেছেন।

শেষদিকে ২৪ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। অশ্বিন, শামি, জাদেজারা মুহূর্তেই গুটিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। পারনেল ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। ভারতের অশ্বিন ৩টি, মোহিত শর্মা-শামি ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৯ রানে রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। তিনি রান আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলি-ধাওয়ান ১২৭ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিই বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয় ভারতকে। কোহলি ৪৬ রান করে ইমরান তাহিরের শিকার হলেও ধাওয়ান সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গেও ১২৫ রানের জুটি গড়েন ধাওয়ান। রাহানে ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরু থেকেই দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন তিনি। দলীয় ২৬১ রানে পারনেলের বাউন্সারে আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ধাওয়ান। ১৪৬ বলে ১৬ চার ও ২ ছয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপর শেষ দিকে দ্রুত রায়না, রাহানে ও জাদেজার উইকেট হারায় ভারত। রাহানে স্টেইনের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন। ৬০ বলে ৭৯ রানের (৭ চার, ৩ ছয়) দুরন্ত ইনিংস খেলেন রাহানে। তবে অধিনায়ক ধোনির ১০ বলে ১৮ রানের ইনিংসে তিনশো পার হয় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে মরকেল ২টি, স্টেইন, ইমরান তাহির ও পারনেল ১টি করে উইকেট পান।