মাতৃত্ব, নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাসের লক্ষ্যে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সঙ্গে ৬২ কোটি টাকার (৮০ লাখ ডলার) একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
রোববার ঢাকায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বিগবেডারের সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন কোইকা বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি কিম বক হী। রোববার ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এ অর্থের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু হ্রাস, নবজাতক ও ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যু হার হ্রাস এবং শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশের উন্নতি সাধনে খুলনা ও টাঙ্গাইল জেলায় কাজ করবে। এতে গর্ভবতী নারীদের প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী যত্ন, নবজাতকের আবশ্যকীয় যত্ন এবং মায়েদের পুষ্টি উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পাবে। দুই জেলার ৬৪ লাখ মানুষকে ৪ বছর পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে।
চুক্তিটি দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করবে মন্তব্য করেন কোইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি কিম বক হী। তিনি বলেন, ‘এ সাহায্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৪ ও ৫ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে গতি সঞ্চার করবে।’
এর আগে খুলনা ও টাঙ্গাইলে কোইকা-ইউনিসেফের যৌথ স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি (টিএমএনসি) সফল হওয়ায় এবারের কর্মসূচিও এ দুই জেলায় পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বিগবেডার বলেন, ‘কোইকার উদার সহযোগিতায় বাংলাদেশে আমাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিকে দৃঢ় করবো।’