‘যৌনকর্মীও এবার অধ্যাপকের মতো কথা বলবেন?’

SHARE

karina5শুক্রবার ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের জারি করা নির্দেশিকা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রকাশ্যে এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। অনেকে আবার চুপ থেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু সকলে একটি ব্যাপারে এক মত, এ ভাবে সৃষ্টিশীলতাকে থামানো যায় না।
পরিচালক মহেশ ভাট প্রকাশ্যে বলার লোকেদের মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড যা চায় করতে পারে, তবে সিনেমায় কোনো তালা নেই, দরজা নেই, ছিটকিনিও নেই, যে জোর করে বন্ধ করা যাবে। সিনেমা তো মানসিক ভাবের বহিঃপ্রকাশ। মনকে বন্ধ করবে কী করে! এই যুদ্ধে সেন্সর বোর্ড কোনও দিনই জিততে পারবে না, কারণ এটা ভারত। চিন বা সৌদি আরব নয়, যে ফোতোয়া জারি করে মত প্রকাশের অধিকার বন্ধ করা যাবে।’

কন্যা পূজাও বাবার সঙ্গে এক মত। তিনি জানান, ‘এ নিয়ে আমাদের অবশ্যই রিভাইজিং কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়া উচিত। এ দেশে বেশির ভাগ মানুষের প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু আমার আছে। আমাদের অনেকের আছে।’

মজার বিষয়, নির্দেশিকা নিয়ে সেন্সর বোর্ডের মধ্যেই উষ্মা রয়েছে। সেন্সর বোর্ডের সদস্য তথা ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টিভি ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পণ্ডিত এক ধাপ এদিয়ে বলেন, এ নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক এবং কলাকুশলীদের একটি দল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারক মন্ত্রকের দ্বারস্থ হবেন।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে এক জন চিত্রনির্মাতা। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সব বাধ্যবাধকতায় বিশ্বাস করি না। সিনেমায় যদি কোনো যৌনকর্মীর চরিত্র থাকে, এবার থেকে তিনিও তাহলে অধ্যাপকদের মতো ভাষণ দেবেন?’