ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের ইঙ্গিত ওবামার

SHARE

ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন সরকারকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে ইউক্রেনে একটি নতুন শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনার পর এমন ইঙ্গিত দেন তিনি। খবর বিবিসির
রাশিয়া ‘ব্যর্থ হওয়া’ মিনস্ক শান্তি চুক্তিতে করা ‘প্রতিটি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে’ অভিযোগ করে ওবামা বলেন ‘ইউক্রেনে আত্মরক্ষামূলক মারণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
ইউক্রেন সরকারকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে দেশে চাপের মুখে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে জার্মানি এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ রাশিয়া ইউক্রেনেরে পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলে সরকারবিরোধীদের অস্ত্র ও সৈন্য দিয়ে সাহায্য করে আসছে। তবে রাশিয়া বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
ইউক্রেন সংকট সমাধানে গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরইমধ্যে এ চুক্তি কার্যকারিতা হারিয়েছে। এজন্য উভয় পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
এমন পরিস্থিতিতে জার্মানি ও ফ্রান্স উভয়পক্ষের মধ্যে নতুন একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন সংকটের জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে দায়ী করেন। শান্তি চুক্তি বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও তাদের (পশ্চিমা দেশসমূহ) মধ্যে যে কোনো এক পক্ষকে বেছে নিতে কোনো দেশে ন্যাটো বাহিনীর সম্প্রসারণ করবে না বলে দেওয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে তারা।’
এক বছর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সরকারকে হঠানোর পেছনে পশ্চিমা দেশগুলো ‘সরকার বিরোধী অভ্যুত্থানে মদদ’ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পুতিন।