চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ভাড়া বাড়ায়নি নভোএয়ার

SHARE

করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে আগামীকাল ১ জুন থেকে আভ্যন্তরীণ রুটে শুরু হচ্ছে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল। চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে দিনে ১১টি ফ্লাইট চালাবে তিনটি দেশি বিমান সংস্থা। এরমধ্যে সবচে কম ভাড়া হচ্ছে নভোএয়ারের। চট্টগ্রাম-ঢাকায় যেতে বিমান সংস্থাটি সর্বনিম্ন ভাড়া দিযেছে মাত্র ২৫০০ টাকা। অথচ ইউএস বাংলা দিয়েছে ৩ হাজার টাকা এবং বাংলাদেশ বিমান দিয়েছে ৩১০০ টাকা। একই ধরনের বিমান, ধারনক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলের পর ভাড়া আগের মতোই রেখেছে নভোএয়ার। এক টাকা ভাড়া বাড়ায়নি।

কেন জানতে চাইলে নভোএয়ারের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম মাহফুজ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‌‌দেখুন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে খুব জরুরি না হলে যাত্রী সাড়া মিলবে না। এরপর জরুরি কাজে যারা ভ্রমন করবেন ভাড়া এক টাকা না বাড়িয়ে আমরা তাদের পাশে থাকতে চাই। একটি দৃষ্টান্ত রাখতে চাই। আগে আমাদের চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ২৫০০ টাকা, এখনও তাই আছে। নতুন পরিস্থিতিতে বিমান যাত্রীরা আগে ভ্রমণে অভ্যস্ত হয়ে উঠুক। আতঙ্ক কাটিয়ে নিরাপদে ভ্রমণ করুক আগে আমরা সেটি নিশ্চিত করতে চাই।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে দিনে মোট ১১টি ফ্লাইট চালাবে তিনটি বিমান সংস্থা। এরমধ্য ইউএস বাংলা চালাবে সর্বোচ্চ ৬টি ফ্লাইট। নভোএয়ার তিনটি এবং বাংলাদেশ বিমান চালাবে দুটি। তিনটি বিমান সংস্থা ছোট বিমান দিয়ে যাত্রী পরিবহন করবে। ইউএস বাংলা ড্যাশ-৮ এবং এটিআর দিয়ে; নভোএয়ার এটিআর এবং বাংলাদেশ বিমান চালাবে ড্যাশ-৮ দিয়ে। তবে বেসরকারি আরেক বিমান সংস্থা রিজেন্ট এয়ার এখন আভ্যন্তরীণ রুটে বিমান পরিচালনার সময় ঘোষণা করেনি। বিমান সংস্থাগুলো তাদের নির্ধারিত আসনের ৫০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে।

তিনটি বিমান সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমান নিচ্ছে ৩১০০ টাকা এবং ইউএস বাংলা দিয়েছে ৩ হাজার টাকা। দুটি বিমান সংস্থা আগের ভাড়ার চেয়ে ৫০০ টাকা ভাড়া বাড়তি নিচ্ছে। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনামতে বিমানগুলো নির্ধারিত আসনের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ আসন নিয়ে চলতে পারবে। বাকি সিট খালি রাখতে হবে। এই অবস্থায় খরচ পুষিয়ে নিতে কিছুটা ভাড়া বেশি নিতে হচ্ছে জানান ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) কামরুল ইসলাম।

এদিকে আগামীকাল যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরুর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পদক্ষেপ সর্ম্পকে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এবিএম সারোয়ার ই জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‌সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনামতে আমরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো যাত্রীদের। একজন যাত্রীকে টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের আগেই গাড়িকে জীবানু নাশক করা হবে। এরপর যাত্রীকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক, গ্লাভস পরে পা জীবানুমুক্ত করতে হবে। এরপর ভবনে প্রবেশের সময় ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হবে। চেকইন কাউন্টারে শারীরিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে বোর্ডিং পাস নিতে হবে। এরপর ভবন থেকে বের হয়ে উড়োজাহাজে পৌঁছার পর বিমানে উঠার আগেই আরেকবার জ্বর মেপে নিশ্চিত হতে হবে। একইসাথে সেখানে আরেকবার পা জীবাণুমুক্ত করা হবে।