সহায়তা পাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা

SHARE

করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নিরুপন করে তাদের আর্থিক ও টেকনিক্যাল সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রণালয়টির প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

আজ রবিবার সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকদের সাথে আয়োজিত এক সভায় এসব নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের অফিস থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে হবে। পহেলা বৈশাখ ও ঈদে নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা পোষাক এবং তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে পারেনি। অনলাইনে এ সব পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এসব উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আজ থেকেই কাজ শুরু করতে হবে।

উপকূলীয় জেলাগুলোর উপর দিয়ে সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুদের সহায়তা ও পূনর্বাসনেরও নির্দেশ দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসময় তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বাস্তবতাকে মেনেই আমাদের কাজ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় শিশু পুরস্কার-২০২০ ও ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর জন্মবার্ষিকী উদযাপনের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা সভায় আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি সকল ধরনের অফিস খুলে দেওয়ায় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চালু করতে হবে। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ছুটির পর কর্মজীবি মহিলা হোস্টেলে আগত বোর্ডারদের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর এনডিসি ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ আজকের এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।