লকডাউন তুললে খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

SHARE

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এরই মধ্যে সাড়ে ১২ লাখেরও বেশি মানুষ মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও লকডাউন তুলে নেওয়ার চিন্তা করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই পথে হাটছে জার্মানি, চীন-সহ বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশ।
তবে এখুনি লকডাউন শিথিল করা হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বলেছে, লকডাউন তুললে মহামারিটি আরও ভয়াবহ রূপে ফিরে আসতে পারে। আমরা এখনো মহামারিটির প্রথম ধাপে রয়েছি। আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।
বেশ কিছু দেশে যখন লকডাউন ও বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে শুরু করেছে। ঠিক তখনই সাবধান করল ডব্লিউএইচও।
লকডাউন প্রত্যাহার বা শিথিল করার আগে ছয়টি শর্ত পূরণের তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেগুলো হলো-
১. রোগের সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা।
২. দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিটা রোগীকে শনাক্ত, পরীক্ষা, আইসোলেশন, চিকিৎসা এবং সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে শনাক্ত করতে সক্ষম।
৩. হাসপাতাল, নার্সিংহোম, সেবা কেন্দ্রগুলোর মতো নাজুক স্থানগুলোয় ঝুঁকি নিম্নতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
৪. স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ও অন্যান্য দরকারি স্থানে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
৫. বাইরে থেকে আসা নতুন রোগীদের সামলানো।
৬. সমাজের বাসিন্দারা পুরোপুরি সচেতন, সতর্ক ও নতুন জীবনযাপনের ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।
উল্লেখ্য, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ জন মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ২৪৪ জন। সুস্থ হয়ে ফিরেছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৫৩৩ জন। করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি মানুষের। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী এই তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে।