করোনা নিল আরো তিনজনের প্রাণ, শনাক্ত ৫৮

SHARE

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন শনাক্ত হয়েছে ৫৮ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। আর করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে মোট ৪৮২ জনের শরীরে।

আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিফ করেন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। ব্রিফিংয়ে অনলাইনে সরাসরি যুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৫৮ জনকে। এ ছাড়া একই সময় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনজন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, নতুন করে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে করোনা আক্রান্তদের জন্য সুসজ্জিত করা হচ্ছে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারকে দুই হাজার শয্যার হাসপাতালে পরিণত করা হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও উপস্থিত ছিলেন।

ফ্লোরা বলেন, সর্বশেষ আক্রান্ত ৫৮ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮২। আক্রান্তরা সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ঢাকার মিরপুর ও বাসাবো এবং নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সময়ে আমরা আরো তিনজনকে হারিয়েছি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩০। তিনি জানান, যে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের একজন ঢাকা শহরের এবং দুজন ঢাকার বাইরের। তাঁদের বয়স ৩৮, ৫৫ এবং ৭৪ বছর। আর যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তাদের দুজন পুরুষ এবং একজন নারী। তাঁদের বয়স ২৬, ৫৭ এবং ৫৫ বছর।

ফ্লোরা জানান, সর্বশেষ আক্রান্তদের ৪৮ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। এদের ১৪ জন ঢাকার এবং আটজন নারায়ণগঞ্জের। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক হিসেবে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ১৭ জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৫ জন। তিনি জানান, পরপর দুটি পরীক্ষায় কারো মধ্যে করোনার উপস্থিতি নেই- এমন পাওয়া গেলে তাকে সুস্থ বলে ধরে নেওয়া হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় এমন আরো তিনজনকে পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন।

এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফ্লোরা বলেন, যে ৪৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২ শতাংশ। এর পরে রয়েছেন ২১ থেকে ৩০ শতকরা ১৯ ভাগ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে ১৯ শতাংশ। নারী-পুরুষ বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তদের শতকরা ৭০ ভাগ পুরুষ এবং শতকরা ৩০ ভাগ নারী। এ পর্যন্ত আক্রান্তদের শতকরা ৫২ ভাগই ঢাকা শহরের বলে জানান ফ্লোরা।