ভারতে করোনাভাইরাসে আরেকজনের মৃত্যু প্রতিনিধি, কলকাতা

SHARE

ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কর্ণাটকের পর এবার খোদ রাজধানী দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন আরেকজন। গতকাল শুক্রবার দিল্লির রামলোহিয়া হাসপাতালে মারা যান ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে মারা যান ৭৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। তিনি সৌদি আরব থেকে ফেরার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

ভারতে করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ৮২। এর মধ্যে ১৬ জন ইতালির এবং একজন কানাডার।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ৭ মার্চ ওই বৃদ্ধা দিল্লির রামলোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃদ্ধার বাড়ি দিল্লির জনকপুরী এলাকায়। তাঁর ৪৮ বছর বয়সী ছেলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সুইজারল্যান্ড ও ইতালি ঘুরে ২৩ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন। ৭ মার্চ ওই বৃদ্ধাকে ভর্তি করানো হয় রামলোহিয়া হাসপাতালে। তাঁর ছেলেকেও ভর্তি করা হয়। বৃদ্ধার ব্লাড সুগার ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ৯ মার্চ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। গতকাল তিনি মারা যান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছেলের সংস্পর্শে এসে ওই বৃদ্ধা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

কোভিড-১৯ আতঙ্কের ঝাপটা এসে পড়েছে কলকাতায়ও। স্কুল-কলেজ, শপিং মল, হাট-বাজারে মানুষের সমাগম কম। বহু এলাকার সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে। হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের।

এদিকে গতকাল ইতালি থেকে আসা একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের তিন নারী কর্মকর্তাকে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ঢুকতে দেওয়া হয়নি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ও গুসকরা এলাকায়। জেলা প্রশাসক ওই তিন নারী কর্মকর্তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেন বর্ধমান থেকে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁরা পূর্ব বর্ধমানের আদিবাসী এলাকায় আদিবাসীদের উন্নয়নকাজ তদারকির জন্য দমদম বিমানবন্দর হয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসেন। দমদম বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদের কলকাতায় ঢুকতে দেওয়া হয়। তাঁদের বিভিন্ন হোম পরিদর্শনের কথা ছিল। তাঁরা এসে প্রথমে চলে যান ঝাড়খন্ডে। সেখান থেকে তাঁরা বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানে যান।