খালে নিখোঁজ শিশু আশামনির সন্ধান মেলেনি আজও

SHARE

রাজধানীর কদমতলীর ডিএনডি খালে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ বছরের শিশু আশামনিকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আজকে নিয়ে তার খালে পড়ে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ দিনে গড়াল।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি। এদিকে এখনো আশামনির সন্ধান না মেলায় ফায়ার সার্ভিসের কাজে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল ঘটনাস্থলের (শিশুটির খালে পড়ে যাওয়ার স্থান) পাশে ইউসুফ মেমোরিয়াল স্কুলের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে আশামনির লাশ উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। অন্যদিকে গতকালই সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণ করেছে।

জানা গেছে, এরশাদ ও তানিয়া দম্পতির বড় মেয়ে আশামনি। বাসা মিরাজনগরের পাশের মোহাম্মদনগর কালভার্ট এলাকায়। ঘটনাস্থলের পাশেই এরশাদের একটি কনফেকশনারি রয়েছে। এ বছরই মিরাজনগর ফারহা মডেল স্কুলের শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল আশামনি। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়।

প্রতিবেশী ফারুক ও ফজলুর রহমান বলেন, গত শনিবার বল আনতে গিয়ে খালে পড়ে যায় আশামনি। খালটি কাদা ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা। ফলে খালের আবর্জনায় তলিয়ে যাওয়ার পর থেকে সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না আশামনির। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ময়লা পরিষ্কার করে তাকে উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না ফায়ার সার্ভিস। এমনকি তাদের অভিযানে তেমন জোরালো তৎপরতাও নেই। এ কারণে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় লোকজন। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, ‘আশামনিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের তিনজন ডুবুরি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খালটিতে অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা-আবর্জনা থাকায় শিশুটির সন্ধান মিলছে না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশামনি খালের পানিতে পড়েছে কি না সেটি আমরা নিশ্চিত নই। শিশুটিকে নিজ চোখে পানিতে পড়তে দেখেছে—এমন কোনো প্রত্যক্ষদর্শী আমরা এখনো পাইনি। এর পরও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’

কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, ‘এখনো শিশুটির সন্ধান মেলেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার জন্য একটি টিম সেখানে মোতায়েন করা আছে।’