অবরোধের সমর্থনে বিএনপি মিছিলেল সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা অন্তত ১৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির অন্তত সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা বিএনপি রোববার সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ শনিবার দুপুরে এই হরতালের ডাক দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে শহরে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের নিষেধ করলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও পাল্টা টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছলে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। পুলিশ আবারো টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় বিএনপি কর্মী জুবলী বাগানের শাওন (২১), বাগবাটির স্বাধীন ও আমলাপাড়া মহল্লার সৌরভ (১৮) সহ সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রীক আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে তাদের বেশ কয়েকজনকে আহত করে।
এ ছাড়াও জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করার প্রতিবাদেই এই হরতাল পালন করার জন্য সিরাজগঞ্জ বাসীর কাছে আহবান জানানো হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল উদ্বোধন করার সময় বিএনপির সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে অনুষ্ঠানকে পণ্ড করার জন্য সেখানে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলেও তিনি জানান।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, শহরে নাশকতার জন্য বিএনপি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে ৬০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও শতাধিক রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েনসহ বিজিবি ও র্যা ব টহল জোরদার করা হয়েছে।