উত্তাল হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ

SHARE

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দিকে দিকে উত্তাল হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ। কোথাও রেললাইন অবরোধ করে, আবার কোথাও মহাসড়কে টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ চলছে কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটাতে হয় পুলিশকে। পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তের কোথায়, কখন, কী ঘটছে, একনজরে দেখে নিন।

আজ শনিবারও উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। বেলডাঙা স্টেশনে আগুন নেভাতে গেলে দমকল বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সুতিতে ফাঁকা অ্যাম্বুল‍্যান্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তৃণমূল নেতার বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। আজ সকাল থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখা যায় কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে।

সকাল থেকে জাতীয় মহাসড়ক কার্যত অচল করে দিয়ে চলে অবরোধ। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে ইটের আঘাতে জখম হন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সাউথ)। পরে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের শেলও। হাওড়ায় একাধিক বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। ৩৪ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে অবরোধের জেরে আমডাঙায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। হাসনাবাদ শাখায় হাড়োয়া রোড, চম্পাপুকুর, সন্ডালিয়া, কাঁকরা, মির্জানগর, লেবুতলাতেও ট্রেন অবরোধ করা হয়।

কাঁকরা-মির্জানগরের অবরোধ যদিও পরে উঠে যায়। তবে অন্য জায়গাগুলোতে লাইনের উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান অবরোধকারীরা। অন্যদিকে, শিয়ালদা দক্ষিণে লক্ষ্মীকান্তপুর-নিশ্চিন্দাপুরের মাঝেও ট্রেন চলাচল কার্যত ব্যাহত করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

গতকাল শুক্রবারের মতোই নিয়মিত অবরোধ চলছে মুর্শিদাবাদেও। রঘুনাথগঞ্জের একাধিক জায়গায় কয়েক ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ চলছে। সেখানে ৩৪ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেওয়া হয়।

যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই বিক্ষোভ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ বাহিনী। বাস ভাঙচুর করা হয়েছে মুর্শিবাদের সুতিতেও। এছাড়াও সাগরদিঘির পোড়াডাঙা, নিমতিতাতে চলছে রেল অবরোধ। বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় মালদা-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, নবদ্বীপধাম এক্সপ্রেস।