রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট, মানুষের ভোগান্তি

SHARE

নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর ও এর প্রতিবাদে দেশের ২০ জেলায় চলমান পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকায়ও।

আজ বুধবারও (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সড়কগুলোতে গত কয়েকদিনের তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীবাসী। বাস না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদেরকে। অনেকে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও নারীরা।

সরেজমিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে গণপরিবহনের অপেক্ষায় যাত্রীদের ভিড় করতে দেখা গেছে। গণপরিবহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিতে হচ্ছে অফিস আদালতে কর্মজীবীদের। একই অবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও। অনেকে ভাড়া নির্ধারণ করে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার দিয়ে রাইড শেয়ার করছেন অনেকেই।

কারওয়ান বাজার মোড়ে বাসের অপেক্ষায় থাকা অফিসগামী কয়েকজন কর্মজীবী জানান, রাস্তায় বাস কম বিষয়টি জানতে পেরে আগেই অফিস থেকে বের হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, দেড়ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠতে পারছেন না। অনেকক্ষণ পরপর একটা বাস এলেও ভিড়ের কারণে উঠতে পারছেন না।

মিরপুর ১২ নম্বর সেকশন থেকে যেসব গণপরিবহন ছাড়ে তার চালকরা বলছেন, মিরপুর ১২ নম্বর ছেড়ে গাড়ি ১০ নম্বরে যেতেই মামলা খাওয়া লাগে। গাড়ির কাগজপত্র সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও কোনো না কোনো দোষ ধরে পুলিশ মামলা দেবেই। আর এখন তো পাঁচ হাজার টাকার নিচে কোনো মামলা নেই। তাই এ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার থেকে ধর্মঘট হলেও বেশিরভাগ ড্রাইভার মঙ্গলবার থেকেই গাড়ি বের করেননি।

এদিকে, রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট থাকায় উবার, পাঠাওসহ বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের রাইডারদের চাহিদা রয়েছে অনেক। কিন্তু বেশিরভাগ মোটরসাইকেল রাইডার অ্যাপস ছাড়া সরাসরি যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া ঠিক করে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।