রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির জন্য দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) পুতিন শর্তও দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির জন্য সংঘাতের মূল কারণগুলোর সমাধান করতে হবে। সেই সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিশদ সমাধান করতে হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় লাখো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এটি কয়েক দশকের মধ্যে মস্কো ও পশ্চিমাদের মধ্যে তীব্রতম সংঘর্ষের সূত্রপাত করেছে।
মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি পুতিনের সতর্কতামূলক সমর্থন ওয়াশিংটনের প্রতি সদিচ্ছার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার দরজাও খুলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুতিনের শর্ত দ্রুত যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিতও দিচ্ছে না।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার পর ক্রেমলিনে সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার পুতিন বলেন, ‘আমরা শত্রুতা বন্ধের প্রস্তাবে একমত। ধারণাটি ঠিক আছে।
আমরা অবশ্যই এটি সমর্থন করি।’
তিনি এ-ও বলেন, ‘কিন্তু আমরা এই সত্য থেকে এগিয়ে যাচ্ছি যে, যুদ্ধবিরতি এমন হওয়া উচিত যা দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দিকে পরিচালিত করবে এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর করবে।’
হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলেছিলেন। গত বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করি, ক্রেমলিন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হবে।’ ইউক্রেন এতে সমর্থনও জানিয়েছে।
এদিকে ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পুতিন বলেন, ‘এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা আমাদের আলোচনা করা দরকার। আমি মনে করি, আমাদের মার্কিন সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা উচিত।’
ট্রাম্পকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বলে জানান পুতিন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সংঘাতের অবসানের ধারণাকে সমর্থন করি।’
সূত্র : রয়টার্স