নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙা হলো বিবেকানন্দের মূর্তি

SHARE

ছাত্র আন্দোলনের জেরে অনেক দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নেওয়ার পরদিনই ভারতের জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটিতে যা ঘটল, তাতে রীতি মতো শোরগোল পড়ে গেছে। জানা গেছে, সেখানে ভেঙে দেওয়া হয়েছে স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি। তবে কারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পুরো ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বস্তরে, বিশেষ করে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাটি যেহেতু ঘটেছে একেবারে জেএনইউ ক্যাম্পাসের ভিতরেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুব শিগগিরই জেএনইউ ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের ওই মূর্তিটি উন্মোচিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সেটি ভেঙে দেওয়া হলো। ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই ওই মূর্তির কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, ভেঙে দেওয়া ওই মূর্তিটি গেরুয়া কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ। তিনি সাফ দাবি করেন, আমাদের আন্দোলনকে বিপথগামী করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙাকে কোনোভাবেই আমরা সমর্থন করি না। আমাদের আন্দোলনের সাফল্য আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র করেনি। আমরা কোনো ধরনের গুণ্ডামিকে সমর্থন করি না।

হোস্টেল ফি বাতিলসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে জেএনইউ ছাত্ররা। এ বিষয়ে এরই মধ্যে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধিকর্তা আর সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, হোস্টেল ফি-সহ ছাত্রদের অন্যান্য দাবি দাওয়ার বিষয়ে আন্তরিক ভাবনাচিন্তা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের জন্যেও বিশেষ প্রকল্প চালু করা হবে।

যদিও ছাত্ররা এখনই আন্দোলন থামিয়ে দিতে নারাজ। পুরো ফি মুওকুফ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের সঙ্গেও সাক্ষাত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় যে বিশেষ প্রকল্পের কথা বলছে, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।

তারই মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তি ভাঙচুর গোটা পরিস্থিতির উত্তাপ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।