জ্বলছে ইরাক, বাড়ছে লাশের মিছিল

SHARE

দুর্নীতি, বেকারত্ব, জীবনযাপনের খারাপ মান- এ সবের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার থেকেই বিক্ষোভ চলছে ইরাকে। বর্তমানে এই বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে। অশান্ত ইরাকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাশের মিছিল। স্থানীয় সময় রবিবার পর্যন্ত একশ চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন প্রায় তিনি প্রায় তিন হাজার।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর শিয়া সম্প্রদায়ই ইরাকের শাসনব্যবস্থা সামলাচ্ছে। তারাই গত বছর ক্ষমতায় এনেছে আদেল আব্দুল-মেহদিকে। এই বিক্ষোভ সামলানো এখন মেহদির কাছে বড়সড় পরীক্ষা। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে মেহদি বলেন, ইরাকের সমস্যার কোনো ‘ম্যাজিক সমাধান’ নেই। বিক্ষোভকারীদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে আরও ক্ষেপে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা।

গত কয়েকদিনে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাগদাদ, নাসসিরিয়া, আমারা, বাকুবাতে প্রাণ গিয়েছে অনেকের। পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে কার্ফু জারি হয়েছে। বন্ধ রাস্তাঘাট, সেনা কনভয় ছাড়া কিছু চোখে পড়ছে না। শুক্রবার নমাজের আগে বাগদাদ শান্ত ছিলো, নমাজের পর জড়ো হতে থাকেন প্রতিবাদীরা, গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।