পুরনো ঢাকা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বাহারি কাবাবের স্বাদে। এখানে উত্কৃষ্ট মানের শিক কাবাব, বটি কাবাব, খিড়ি কাবাব, সূতি কাবাব পাওয়া যায়। ঢাকার চকবাজার, লালবাগ, নবাবপুর, জনসন রোড এলাকায় সুস্বাদু কাবাব পাওয়া যায়। রমজান মাসে প্রায় ৩০-৪০ পদের কাবাব এখানে তৈরী করা হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- শর্মা কাবাব, ডোনা কাবাব, বিফ কিমা, বিফ জালি, মার্টন মুঠি, মার্টন চাপালি, খাসির আস্ত রানের কাবাব, হাড্ডি, আস্ত খাসির কাবাব, কোয়েল পাখির কাবাব, কবুতরের কাবাব, টিকিয়া, গ্রিল চিকেন, চিকেন টিকিয়া, অ্যারাবিয়ান, করমি, রেশমি, জালি, লাহরি, বটি, শামি, সূতি, মুরগী মোসল্লাম এবং ইরানী শিক। এছাড়া গোশতের কাবাবের পাশাপাশি মাছের কাবাব সমানভাবে জনপ্রিয়। ইলিশ, চিংড়ি, রুই- ইত্যাদি মাছের কাবাব এযুগের সংযোজন হলেও বহু পূর্বে পুরনো ঢাকায় মাছের কাবাব পাওয়া যেত। চকবাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় লেদু মিয়ার তৈরী সুতি কাবাব। বর্তমানে সুতি কাবাব যে নামে বিক্রি হয় তার নাম বাসনা কাবাব। নবাবদের শাসনামলে সুতি কাবাব নামেই এই বাসনা কাবাব প্রচলিত ছিল। পসরার সামনে লম্বা দুই শিকে কালচে বাদামী রংয়ের বেশ মোটা মাংস ঝলসানো এবং মশলার সুগন্ধে সামনে থাকলে জিভে পানি আসে। একেকটি শিকের ওজন প্রায় ১০-১২ কেজি হয়ে থাকে। মশলা মাখানো মাংস ছোট টুকরা করে একটি বিশেষ কায়দায় সুতা দিয়ে পেচিয়ে মোটা শিকে গেথে রাখা হয়। এজন্য এটাকে সুতি কাবাব বলা হয়। ঢাকার বিখ্যাত কাবাব কারিগরের মধ্যে মুন্সী মিয়া, রুস্তম মিয়া, সেলিম বাবুর্চী এবং মাহাবুব মিয়া অন্যতম। ঢাকার ইফতার সামগ্রীতে কাবাব বরাবরই একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সূতী কাবাব প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৬০০ টাকায়।