চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার কবলে দ্বিতীয় হজ্ব ফ্লাইট

SHARE

জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে দ্বিতীয় হজ্ব ফ্লাইট। বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজটি সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু যাত্রীরা না পৌঁছায় ছেড়েছে ১২টা ৩৫ মিনিটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত বাংলাদেশ বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আরিফুজ্জামান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দ্বিতীয় হজ্ব ফ্লাইট আজ সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় যাওয়ার শিডিউল ছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে হজ্ব যাত্রীরা সঠিক সময়ে আসতে না পারায় হজ্ব ফ্লাইট বিলম্বিত করা হয়।’

তিনি বলছেন, ৪১৯ হজ্ব যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজটি ছাড়ার কথা থাকলেও দেরি করার পরও ৭ জন যাত্রী অনুপস্থিত ছিল। পরে ৪১২ যাত্রী নিয়ে বোয়িং ৭৭৭ জাহাজটি চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।

এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল সোয়া তিনটায় চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবের মদিনায় সরাসরি হজ্ব ফ্লাইট উড়বে।

জানা গেছে, গত ৭ জুলাই ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত সময়েই সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছিল প্রথম হজ্ব ফ্লাইট। নির্দিষ্ট সময়ে উড়াল দেয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন হজ্ব যাত্রীরা। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত থাকলেও টানা বৃষ্টিতে সকালে শহরের প্রধান সড়কে ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়েই ফ্লাইট পেছাতে হয়।

বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলছে, হজ্বযাত্রী পরিবহনে বিমান এবার ১৯টি সরাসরি ফ্লাইট অর্থাৎ শুধুমাত্র হজ্বযাত্রী পরিবহন করবে। এছাড়া চট্টগ্রাম-জেদ্দা, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ১৪ নিয়মিত (শিডিউল) ফ্লাইট চালাবে; এসব ফ্লাইটে নিয়মিত যাত্রীর বাইরেও হজ্বযাত্রী পরিবহন করবে। সবগুলো ফ্লাইট বোয়িং ৭৭৭ বিমান দিয়েই যাত্রী পরিবহন করা হবে। ৩৩টি ফ্লাইটের সবগুলো মিলিয়ে সাড়ে ১০ হাজার হজ্বযাত্রী পরিবহনের লক্ষমাত্রা রয়েছে বিমানের।