সরকারের তৎপরতায় বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে

SHARE

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ সংসদে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রথমবারের মতো দেশের প্রত্যেক উপজেলা হতে প্রতি বছর গড়ে এক হাজার কর্মী বিদেশে প্রেরণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বেগম হাবিবা রহমান খান। জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, বর্তমান সরকারের বিগত দুই মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫ কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে সংসদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে পড়ছে কথাটি সঠিক নয়। বরং বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতায় বিশ্বে বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ হতে এ পর্যন্ত ১৭৩টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ২০১৪ সালে বিদেশে কর্মী পাঠানোর হয়েছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন। ২০১৭ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন হয়েছে। এরমধ্যে গত বছরে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১জন।

আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ অ্যানী রহমানের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাড়ে ৮ লাখের বেশি নারী কর্মী কর্মরত আছে। সেখানে বাংলাদেশি নারীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এসব নারীদের সুরক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

একই দলের আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশি প্রতারণার শিকার হয়ে জেলে আটক আছে তাদের দেশে ফেরত আনার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে প্রবাসে কর্মরতদের আইনগত সহায়তার জন্য বিভিন্ন দেশে ৩০টি শ্রম উইং প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতারিত হয়ে জেলে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য শ্রম কল্যাণ উইংয়ের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান করে দেশে ফেরত আনা হয়। এজন্য দূতাবাস-হাইকমিশন কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে মামলাগুলো তদারকি করা হয়।