স্বপ্ন সব সময় বড়ই দেখতে হয় : মিরাজ

SHARE

নিজের কীর্তির সূত্র ধরেই প্রথমবারের মতো মাঠে বসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। ২০১০ সালে অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় বিভাগীয় প্রতিযোগিতার সেরাদের পুরস্কার দেওয়ার পর্বটি যে রাখা হয়েছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচের ঠিক আগে। সুবাদে সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৫ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার নিতে আসা মেহেদী হাসান মিরাজের ভাগ্যে একই দিনে জুটেছিল অমূল্য আরেক পুরস্কারও। কী সেটি? তাঁর ক্রিকেট খেলায় বাবার প্রথম স্বীকৃতি।

প্রশ্ন : প্রথম বিশ্বকাপ দেখা কবে?

মেহেদী হাসান মিরাজ : ২০০৭ সালে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর খুলনায় খুব আনন্দ করেছিলাম আমরা।

প্রশ্ন : নিজে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও কি তখনই দেখেছিলেন?

মিরাজ : নাহ্। সেটি দেখেছি আরো অনেক পরে। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার সময়ই বড়দের বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি।

প্রশ্ন : ২০১৬-তে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। এবার বড়দের বিশ্বকাপেও যাচ্ছেন। দুই আসরের পার্থক্যটা কোথায় বলে মনে হয়?

মিরাজ : যুব বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ তারকাদের মঞ্চ। আর তারকা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার মঞ্চ হলো এই বিশ্বকাপ।

প্রশ্ন : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্বপ্নের আন্তর্জাতিক অভিষেক আপনার। এবার বিশ্বকাপেও কি স্বপ্নের মতো কিছু করতে চান না?

মিরাজ : আসলে সবারই স্বপ্ন থাকে। আমারও স্বপ্ন আছে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এটা জিতলে অন্য রকম অনুভূতি হবে। আর স্বপ্ন সব সময় বড়ই দেখতে হয়। ছোট দেখার কোনো কারণ নেই। আমরা যেহেতু বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি, আধিপত্য বিস্তার করেই খেলার চেষ্টা করব। আশা করি ভালো ফলই হবে।

প্রশ্ন : অফস্পিনার হিসেবে ইংল্যান্ডে নিজের চ্যালেঞ্জ কোথায় দেখছেন?

মিরাজ : অবশ্যই আমার চ্যালেঞ্জ একটু বেশি থাকবে। কারণ ইংল্যান্ডের উইকেট অনেক ভালো হবে। অন্য বোলারদের সহযোগিতা করাই সেখানে আমার মূল ভূমিকা। রান আটকাতে হবে। ওভারপ্রতি রান যদি পাঁচের ভেতরে রাখতে পারি, তাহলে খুব ভালো হয়।

প্রশ্ন : টার্ন করানো বাংলাদেশের স্পিনারদের শক্তির জায়গা নয়। এটি কি সমস্যা করতে পারে বিশ্বকাপে?

মিরাজ : স্পিনার হিসেবে আমার কাছে টার্নের চেয়ে ভালো জায়গায় বল করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভালো জায়গার সঙ্গে একটু টার্ন করাতে পারলে তো আরো ভালো। লাইন-লেংথ ইংল্যান্ডের উইকেটে বেশি জরুরি। আমাদের স্পিনারদের শক্তির দিক এটিই। যা প্লাস পয়েন্টও।