ইসরায়েল সোমবার ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে চালানো সর্বশেষ হামলা এটি। অন্যদিকে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীর এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় বন্দরের একটি ঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
এর জবাবে ইসরায়েল হোদেইদাসহ হুতি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। হুতির দাবি, তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে এসব হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হোদেইদা বন্দরে হুতি সন্ত্রাসী শাসনের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং আগে আক্রান্ত সন্ত্রাসী অবকাঠামো পুনর্গঠনের যেকোনো প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে প্রতিহত করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইয়েমেনের পরিণতি তেহরানের মতোই হবে।
’ এ কথার মাধ্যমে তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সদ্যসমাপ্ত ১২ দিনের যুদ্ধের ইঙ্গিত দিন, যেখানে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায়।
এ ছাড়া হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, ‘ইসরায়েল হোদেইদা বন্দরে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে।’
এক হুতি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বোমাবর্ষণে বন্দরের ঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে, যেটি পূর্ববর্তী হামলার পর পুনর্গঠন করা হয়েছিল।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, তার মধ্যে ছিল ‘প্রকৌশল যান, জ্বালানির কনটেইনার, সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত নৌযান’ এবং ‘হুতি সন্ত্রাসী শাসনের ব্যবহৃত আরো সন্ত্রাসী অবকাঠামো।
’
তারা আরো দাবি করে, ওই বন্দর ব্যবহার করে ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হতো, যা পরে হুতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করত। ইসরায়েল ‘বন্দরে হুতি সন্ত্রাসীদের নতুন করে সন্ত্রাসী অবকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা শনাক্ত করেছে’ বলেও জানায় সেনাবাহিনী।
সম্প্রতি হুতি গোষ্ঠী আবারও লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে প্রাণঘাতী হামলা শুরু করেছে। তাদের মতে যেসব জাহাজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো লক্ষ্য করে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে, যাতে গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।