দক্ষিণ কোরিয়ায় চালু হলো ৫জি মোবাইল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দেশটির টেলিকমিউনিকেশন ক্যারিয়ার এই সুপারফাস্ট ইন্টারনেট যুগে পা দিলো। মূলত বিশ্বে ৫জি সেবা চালুর ক্ষেত্রে প্রথম দেশ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতেই এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ৫জি’র যুগে প্রবেশ করে দক্ষিণ কোরিয়া। এর কয়েক ঘণ্টা পর আমেরিকার ভেরিজন তাদের ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করে। আগামী শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করার কথা ছিল। কিন্তু আমেরিকার ভেরিজন তাদের ৫জি উদ্বোধনের সময় এগিয়ে আনার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত।
ক্যারিয়ার বলছে, ৫জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মোবাইলে ৪জি নেটওয়ার্কের তুলনায় ২০ গুন বেশি দ্রুত গতিতে তথ্য ডাউনলোড করা যাবে। এ হিসেবে পুরো একটি মুভি ডাউনলোড দেয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ জুলাই বাংলাদেশের হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ ৫জি সামিটে’ ৫জির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হয়। সফল এই কার্যক্রমে গতি ওঠে ৪ দশমিক ১৭ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড)। এ পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় হুয়াওয়ে। এর আগে দেশে ফোরজি সেবার ন্যূনতম গতি ২০ এমবিপিএস নির্ধারণ করে দেয় সরকার। মোবাইলফোন অপারেটররা এই গতিকে বাস্তবসম্মত নয় বলে অভিহিত করে। পরবর্তী সময়ে সেবার মান নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। খসড়া বিধিমালায় ফোরজি সেবার গড় গতি নির্ধারণ করা হয় ৭ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড)।