টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

SHARE

নিজস্ব প্রতিবেদক :

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদীর পানি।

নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৬৫ সে. মি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ জেলার বাইশপুকুর স্বেচ্ছাশ্রম বাধেঁর ২ কিলোমিটার অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

লালমনিরহাটের ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে তিস্তা তীরবর্তী লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য রাত থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। কাকিনা বুড়িমারি স্থলবন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার ১০৮ সোন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমারের পানি বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জামালপুরে যমুনার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবার অর্ধশতাধিক গ্রাম তলিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে আখাউড়া বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি।

সুনামগঞ্জে ৬ উপজেলায় প্রাথমিক স্কুলে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ২১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আতংকে দিন কাটছে নদীপাড়ের মানুষের।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির কাচালং নদীর পানি বেড়ে পৌর এলাকাসহ ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাঈনী নদীর পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে অনেক ঘরবাড়ী। শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এছাড়া, সিরাজগঞ্জ, দিনাজুর, রংপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতর অবনতি হয়েছে।