রাত ১১টার পর ফেসবুক বন্ধ চান রওশন

SHARE

রাত ১১টার পর ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন বলেন, এবারের অর্থবাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ টাকা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হবে। ইয়ং জেনারেশন সারারাত ধরে মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ভাইবার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। রাত ১১টার পর এগুলো বন্ধ করতে হবে। অনেক দেশেই এসব রাতে বন্ধ থাকে।

বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ভ্যাট আদায় করা সমীচীন হবে না মন্তব্য করে রওশন এরশাদ বলেন, গত অর্থবছরের বাজেটে চিন্তা ছিল রাজস্ব আদায়। এবার অর্থমন্ত্রী ভাবছেন ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধরা হয়েছে, সম্পূরক শুল্ক আছে, করপোরেটের ট্যাক্স আছে। কাজেই এবার রাজস্ব আদায় হবে।

এভাবে মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ভ্যাট আদায় করা ঠিক সমীচীন হবে না। এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, বলেন জাতীয় পার্টির এই সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান।

এডিবির বিষয়ে রওশন বলেন, অর্থমন্ত্রী ভালো করেই জানেন এডিবির অর্থায়নে যেসব প্রকল্প নেয়া হয় তা কিন্তু পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় না। প্রথম ১০ মাসে ৫৮ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়। পরের ২ মাসে তাড়াহুড়ো করে বরাদ্দটা নেয়, কিন্তু প্রকল্প শেষ হয় না। বড় প্রকল্প মানেই বড় লুটপাট।

এডিবিতে যা বরাদ্ধ দেয়া হয় তা যেন বাস্তবায়ন হয়, সে বিষয়ে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, পহেলা জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে। জনগণের ভ্যাটটা যদি কাটা হয় শিল্পখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভ্যাট আইন গ্রহণযোগ্য নয়। আবারও মাননীয় অর্থমন্ত্রী চিন্তাভাবনা করবেন বলে মনে করি।

তিনি বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ, আগামীতে ৭.৪ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা। মাত্র ০.২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা। এভাবে হবে না।

রওশন এরশাদ বলেন, বিনিয়োগের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন, যা এখনও আমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি। বেসরকারি বিনিয়োগ আনতে সে পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। এখনো গ্রাম-গঞ্জে বিদ্যুৎ নেই। বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান হবে না। সেজন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার (অবকাঠামো) গড়ে তুলতে হবে। নইলে বিনিয়োগ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শেষ করে বের হয়। কর্মক্ষম ১০ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৫ কোটির কাজ আছে। বাকি লোকের কর্মসংস্থান নেই। এলাকাভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান না হলে ছেলেমেয়েরা নেশাগ্রস্ত হবে, না হয় জঙ্গি হবে।

তিনি খাদ্যে ভেজাল রোধে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, খাদ্যে ভেজাল ঠেকানো না গেলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে।

যানজট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহর তলিয়ে যায়। ঢাকাকে বাঁচাতে হবে।