বাংলাদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। মোরার আঘাতে দুই জেলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে এসব এলাকায় বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু গাছপালা।
এদিকে বৃষ্টি ঝরিয়ে মোরা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে যাওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেতের পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, মোরা বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছে। এখন ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশ থেকে চলে গেলেও মোরার প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েক দিন বৃষ্টিপাত হবে।
আজ বেলা একটার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আবদুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ে গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার পূর্ব ডোমখালীর রহমত উল্লাহ (৫০) ও একই উপজেলার পূর্ব বড়হেউলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার সায়েরা খাতুন (৬০)। এ ছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়াচটা আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কে মারা গেছেন মরিয়ম বেগম (৫৫)। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পেকুয়ারচর গ্রামে সোনালী বাজার স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আবদুল হক (৬৫)। পথে গাছ চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘূর্ণিঝড়ে রাঙামাটিতে বেলা পৌনে ১২টা থেকে ১২টার মধ্যে গাছচাপায় দুজন নিহত হন। এঁরা হলেন শহরের আসামবস্তি এলাকায় হাজেরা বেগম (৪৫) ও শহরের ভেদবেদী এলাকার জাহিদা সুলতানা (১৪)। জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান এ দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।