২৪আওয়ার রিপোর্ট : যাত্রী দুর্ভোগের কারণে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ কয়দিন সিটিং সার্ভিসেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় করতে হবে।
বিআরটিএ নির্ধারিত হার অনুযায়ী মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা এবং বাসের ভাড়া ৭ টাকা। এছাড়া মিনিবাসে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সা এবং বাসে ১ টাকা ৭০ পয়সা।
বুধবার বিকালে বিআরটিএ এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এক জরুরি যৌথসভায় সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার পাশপাশি বিআরটিএ নির্ধারিত হাতে ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মশিয়ার রহমান বলেন, আগামী ১৫ দিন সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী সব বাসের ভাড়া নিতে হবে। তা না করলে সড়কে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই ভাড়ার ব্যাপারে আপস করব না। সরকারি হিসাবে কিলোমিটার প্রতি যা ভাড়া আছে, তা নিতে হবে।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিবহন খাতে বিরাজমান পরিস্থিতি নিরসনে করণীয় নির্ধারণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
আইনগত অনুমোদন ছাড়াই রাজধানীতে গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিস চালু করে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করে আসছিল বাস মালিকরা।
সিটিং সার্ভিসে এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরত্বের জন্যও ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্তও ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছিলেন যাত্রীরা।
সমালোচনার মুখে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে গত রোববার থেকে রাজধানীতে গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর পরিকল্পিতভাবে সড়কে বাস চলাচল কমিয়ে দেয় মালিকরা। এতে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন রাজধানীবাসী।
আর এই ভোগান্তির কথা বলে সিটিং সার্ভিস চালু রাখার পক্ষে মত দিল বিআরটিএ। কিন্তু সংস্থাটি সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেল।