২৪আওয়ার রিপোর্ট : বিমানের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদসহ সব আসামি।
বুধবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ রায় দেন।
মামলা থেকে খালাস পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া মামলার অপর আসামি ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা পলাতক অবস্থাতেই মারা যান।
রায়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে এইচএম এরশাদসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এতে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি দুদক। রাডার ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাব শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন এইচএম এরশাদ।
রায় উপলক্ষে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এইচএম এরশাদ আদালতে হাজির হন। রায় শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এইচএম এরশাদ আদালত চত্বর ত্যাগ করলেও রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে রায় ঘিরে জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। আদালতে আসেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা প্রমুখ।
এইচএম এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। আমরা সুবিচার পেয়েছি।
অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, রায় পর্যালোচনার পর দুদক এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এ মামলা করে। তাতে অভিযোগ করা হয়, এইচএম এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
তদন্ত শেষে ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে এইচএম এরশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।