সারা দিন ধরে টইটই করে ঘোরা বা কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততা। হয়তোবা এর কোনোটাই আপনার দিনলিপির সঙ্গে মেলে না। সারা দিন বাড়ির কাজে বাড়ির মধ্যেই থাকতে হয়। সারা দিনের কাজের তালিকা যেটাই হোক না কেন, রাতে ঘুমানোর আগে নিয়ম করে কিছু বিষয় মেনে চলা ভালো। এতে ঘুমটাও ভালো হবে, সতেজ মনে শুরু করতে পারবেন দিনটা। চেষ্টা করুন নিজের জন্য ঘুমের আগে ১০ মিনিট সময় ব্যয় করার।
মুখে মেকআপ থাকুক বা না-ই থাকুক, রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক। এমনটাই মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। এরপর ত্বক অনুযায়ী ক্রিম লাগান। তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে ক্রিম লাগানোর দরকার নেই। হাত-পা ধোয়ার সময় সম্ভব হলে নরম ব্রাশ দিয়ে ত্বক ঘষে নিন। ময়লা উঠে আসবে ভেতর থেকে। মরা চামড়াও উঠে যাবে। হাতে-পায়ে জলপাই তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। ত্বক নরম থাকবে। ঘুমানোর আগে পরিষ্কার ঘুমের কাপড় পরে নিন। দাঁত ব্রাশ করাও আবশ্যক। সম্ভব হলে গোসল করে নিন। এতে আপনার মস্তিষ্ক খবর পেয়ে যায়, আপনি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চুল আঁচড়ানোর সময় উল্টো করে মাথা নামিয়ে আঁচড়ান। এতে মাথার রক্ত সঞ্চালন ও ঘুম দুটোই ভালো হয়। খুব আঁটসাঁট করে চুল না বেঁধে হালকা করে বাঁধার পরামর্শ দিলেন আফরোজা পারভীন। চাইলে নরম কাপড় দিয়ে পেঁচিয়েও রাখতে পারেন। চুল খোলা রেখে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন।
পরের দিনের জন্য সবকিছু গুছিয়ে রাখুন। সকালের তাড়াহুড়ো অনেকখানি কমে যাবে। কাপড় ইস্তিরি করে রাখা। সম্ভব হলে নাশতা আগের রাতেই তৈরি করে ফেলা। ব্যাগ গুছিয়ে রাখার মতো টুকটাক কাজগুলো করে ফেলাই ভালো।
ঘুমানোর অন্তত ঘণ্টা খানেক আগে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। বই পড়ুন, প্রিয়জনদের সঙ্গে গল্প করুন। রাগ করেও ঘুমানো উচিত নয়। মনের ওপর চাপ ঘুমের মধ্যেও শান্তি দেয় না।
ঘুম একদম না এলে মেডিটেশন অথবা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
ঘরের মধ্যে কড়া আলো বন্ধ করে দিন। টেবিল ল্যাম্প বা অল্প আলো জ্বেলে রাখতে পারেন।
দিনের মধ্যে ভালো ঘটনাগুলো নিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। খিদে পেলে ভারী কিছু না খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। হালকা স্বাস্থ্যকার কিছু খেয়ে নিন।