‘সুন্দরবন ধ্বংসের খেলা করছে সরকার’

SHARE

দেশি-বিদেশি পরিবেশবাদী সংগঠন, পরিবেশবাদী কর্মী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের জোর আপত্তি সত্ত্বেও আত্মঘাতি রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে সরকার সুন্দরবন ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন পরিবেশবাদী আন্দোলন সংগঠনের নেতারা।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী সংগঠনের যৌথ আয়োজনে ‘সুন্দরবনের পাশে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে  নাগরিক সমাবেশে বক্তরা এ অভিযোগ করেন। সমাবেশটি যৌথভাবে আয়োজন করে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা), সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট, সেভ সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, বাগেরহাট ডেভলপমেন্ট সোসাইটি।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশের কাছে সরকার ও ভারতের এনটিপিসি কর্তৃক রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। দেশি-বিদেশি পরিবেশবাদী সংগঠন, পরিবেশবাদী কর্মী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের জোর আপত্তি সত্ত্বেও সরকার বিদ্যুতের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের খেলায় মত্ত রয়েছে।image_94684_0

সরকারের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে একটি অংশে সুন্দরবন বিধ্বংসী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামো তৈরি করছে।

বক্তারা বলেন, বিগত শতকেও সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১৭ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি। কিন্তু বর্তমানে এর আয়তন ১০ হাজার কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। মানুষের আগ্রাসনে কারণে দিন দিন সুন্দরবন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে সরকার সুন্দরবনের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে উল্লেখ বক্তারা বলেন, সুন্দরবনকে বাঁচাতে সরকারের এমন আত্মঘাতি রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন, সেফ দ্যা সুন্দরবন ফাউডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গ্রিস ভয়েজের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।