পরীক্ষায় পাস করেছেন ২০ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী। অথচ রেজিস্টার বলছে, পরীক্ষা দিয়েছেন ১২ হাজার ৮০০ জন। ভূতুড়ে এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনেকেই বলছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার হাল কতোটা শোচনীয়, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের আগ্রার বিআর আম্বেদকর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। বিএড পরীক্ষার ফলাফল বলছে, ২০ হাজার ৮৯ ছাত্রছাত্রী পাস করেছে। অথচ অনুমোদনপ্রাপ্ত কলেজগুলোর পরীক্ষার্থীর তালিকায় ১২ হাজার ৮০০ ছাত্রছাত্রীর নাম নথিভুক্ত রয়েছে।
পাসের তালিকায় কীভাবে ভূতের মতো এতো বেশি সংখ্যক ছাত্র গজিয়ে উঠলো, তা জানতে চেয়ে বিভিন্ন কলেজের কাছে চিঠি দিয়েছেন উপাচার্য মোহম্মদ মুজাম্মিল। শেষ মুহূর্তে ফলাফল স্থগিত রেখে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র প্রফেসর মনোজ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, `যখন ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রাইভেট এজেন্সি প্রস্তুতি চালাচ্ছে, তখন প্রায় সাত হাজার সন্দেহজনক ছাত্রের নাম সামনে আসে। ডেটা মিলিয়ে দেখা হয় যেখানে ১২ হাজার ৮০০ ছাত্রছাত্রীর নাম নথিভুক্ত রয়েছে, সেখানে উত্তরপত্র চেক করা হয়েছে ২০ হাজার ৮৯ জনের। কলেজগুলোকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তারা দাবি করেছেন, পরীক্ষার সিট না থাকলেও, বাড়তি ছাত্ররা পরীক্ষা দিয়েছে।`
২০১৩-১৪ সালেও বিআর আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত ১৯১টি বিএড কলেজ দাবি করেছিল, তাদের ৪০ শতাংশ আসনই ফাঁকা পড়ে থাকছে। এর ফলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। কাজেই আসন খালি থাকার পরও কোথা থেকে হঠাৎ এতো বাড়তি ছাত্রছাত্রীর উদয় হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল।
অনেক কলেজ আবার দোষ ঢাকতে দাবি করেছে, ফাইনাল পরীক্ষার ঠিক আগের দিন ও রাতে অনেক ছাত্রছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছিল, যেটা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
ঠিক কোন ছাত্ররা বিএড এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিল তা জানতে কাউন্সেলিং সেশনের সিডিও চেয়ে পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যারা পরীক্ষায় পাস করেছে, তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে আলাদাভাবে খোঁজ নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।