চীনের মোকাবেলায় একট্টা ভারত-ভুটান

SHARE

চীনের বিপদ মাথায় রেখে দেশের সুরক্ষার বিষয়ে একমত হলো ভারত ও ভুটান। সোমবার দু’দিনের সফর শেষে ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।image_86710_0

এর আগে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে। জাতীয় স্বার্থ যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য দু’দেশ একে অপরকে সাহায্য করবে।

ভারত বা ভুটানের স্বার্থ বিঘ্নিত করতে পারে এমন কোনো দেশকে জমি ব্যবহার করতে দেবে না কোনো দেশই। এমনকি, কোনো দেশে শিবির তৈরি করে জঙ্গিরা যাতে অপর দেশকে ক্ষতি করতে না পারে, সে-দিকটাও নজর দেয়া হবে।

এ-বিষয়ে মোদি উভয় দেশের সম্পর্ককে ‘বি ফর বি’ অর্থাৎ ‘ভারত ভুটানের জন্য এবং ভুটান ভারতের জন্য’ বলে উল্লেখ করেন।

ভারতেরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ভারত এবং ভুটান উভয় দেশের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ একই।”

ভারতের সীমান্তে চিনের আগ্রাসন, আর ভুটানের উত্তরেও চিনের আগ্রাসন–দু’দেশের সীমান্ত উদ্বেগের কারণ একই।

চিনের আগ্রাসন রোধে ভারত এবং ভুটান একে অপরকে সাহায্য করবে বলেও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, দু’দেশের সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে উচ্চ পর্যায়ের আরো বেশ কয়েকটি সফর হবে।

দু’দেশই সহমত হয়েছে, আর্থিক এবং আঞ্চলিক ও বৈদেশিক মঞ্চে এক সঙ্গে কাজ করবে ভারত এবং ভুটান।

প্রসঙ্গত, গান্ধী এবং নেহরু পরিবারের একটি বিশেষ প্রভাব রয়েছে ভুটানে। ১৯৬১ সাল থেকে ভুটানের আর্থিক উন্নয়নে ভারত সাহায্য করে আসছে, সে জন্য ভারতকে কৃতজ্ঞতা জানায় ভুটান।

মোদিও ভুটানকে শুভেচছা জানিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এতদিন ভারত যা যা সাহায্য করে আসছে, তার আমলেও এ-বিষয়ে কোনো গাফিলতি হবে না।

ভারত ভুটানকে সব রকম সাহায্যই করবে আগামিদিনে। জানানো হয়, গুড়ো দুধ, গম, ভেষজ তেল, শস্যদানা, বাসমতি চাল ছাড়া বাকি সব চালের ওপর রফতানিতে কোনোদিনই নিষেধাজ্ঞা জারি করবে না ভারত।

স্থির হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো বাড়ানো হবে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার মেগাওয়াট ধার্য করা হয়েছে। ভারত এবং ভুটান উভয় দেশ এক সঙ্গে এই কাজ করবে।

সীমান্ত শিথিল বা বাণিজ্যিক সুবিধা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, অন্যান্য প্রতিবেশীদের ক্ষেত্রে নয়, শুধুমাত্র ভুটানের ক্ষেত্রেই এই সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, ভুটান স্বীকার করেছে ভারত শক্তিশালী হলে ভুটানও শক্তিশালী হবে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত শক্তিশালী হলে সার্ক গোষ্ঠী শক্তিশালী হবে।–ওয়েবসাইট।