ভারি বর্ষণ ও ঢলে পানিবন্দি মানুষ

SHARE

borshonভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সড়কপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামে ভারি বর্ষণের কারণে বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও কক্সবাজার নগরীর বেশির ভাগ স্থান ডুবে গেছে। বান্দরবানের সঙ্গেও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙামাটির যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বগুড়ার ধনুটে যমুনার ভাঙনে ২০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
চট্টগ্রাম : চার দিন ধরে বর্ষণ চলছে। জোয়ার ও টানা বর্ষণের কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চলে জমেছে হাঁটুপানি। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে গতকাল বৃহস্পতিবারও অব্যাহত ছিল মাইকিং। টানা বর্ষণের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য ওঠানামার কার্যক্রমও। স্বাভাবিকভাবে বন্দরের বহির্নোঙর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি লাইটারেজ জাহাজ পণ্য খালাস করলেও গতকাল কোনো লাইটারেজ জাহাজের বুকিং ছিল না। এদিকে, নগরীর নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে থাকায় ব্যাহত হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। বাস-টেম্পো-সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষকে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবদুল হামিদ সমকালকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে পানি জমে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কগুলোতে দেখা দিয়েছে যানজট।

বরিশাল : টানা পাঁচ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চল হাঁটুপানিতে ডুবে গেছে। নগরীর প্রধান কয়েকটি সড়কেরও একই অবস্থা। গতকাল ভোররাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত একটানা ভারি বর্ষণ হয়। ভুক্তভোগীরা জানান, বৃষ্টির জলবদ্ধতার সঙ্গে জোয়ারের পানি একাকার হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে পেঁৗছেছে। একই দুর্ভোগ বিরাজ করছে বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে। জোয়ারের পানিতে নদী-চর-জলাশয় ডুবে একাকার হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চর ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল দিনের প্রথম ভাগে বরিশালের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে ছিল। দুপুর ১২টার পর বৃষ্টির পরিমাণ কমলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে শুরু করে। বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটা ছিল চলতি মৌসুমে একদিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। হাঁটুপানিতে ডুবেছে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের কাকলী সিনেমা হলের মোড়, বটতলা বাজার থেকে সিঅ্যান্ডবি রোড চৌমাথা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক, সদর অশ্বিনী কুমার হল চত্বর, সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক, বগুড়া রোড মুন্সীর গ্যারেজ, বরিশাল কলেজসংলগ্ন মলি্লকবাড়ি রোড, কাউনিয়া, কলেজ রোড, ভাটিখানা, পলাশপুরসহ নগরীর অনেক এলাকার প্রধান সড়ক। এসব এলাকার অনেক বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বাসিন্দারা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরউদ্দিন সমকালকে জানান, গতকাল বরিশালের নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার চেয়ে এক মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বরিশাল বিআইডবি্লউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আবুল বশার মজুমদার জানান, নৌপথে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বগুড়া :ধুনটে যমুনা নদীর ভাঙনে রঘুনাথপুর গ্রামের ২০ ঘরবাড়ি বিলীন ও ভাণ্ডাবাড়ী এলাকায় ৭০ মিটার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ধসে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় যমুনা পাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। আতঙ্কিত মানুষ জানমাল নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি একাকার হয়ে কয়েক দিন থেকে প্রমত্ত যমুনা নদী ভয়াল আকার ধারণ করেছে। গত দু’দিন থেকে ব্যাপকভাবে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের প্রায় অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে প্রায় ওই গ্রামের ২০টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি, সহায়সম্বল হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রঘুনাথপুর পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। এদিকে, যমুনা নদীর তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে বৃহস্পতিবার সকালে ভাণ্ডাবাড়ী এলাকায় তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৭০ মিটার ধসে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, যেভাবে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে যে কোনো সময় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি নদীভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হারুনার রশিদ বলেন, ভাঙন ঠেকানোর জন্য জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাউবোর টাস্কফোর্সের কর্মকর্তাদের অনুমতি পেলে বালুভর্তি বস্তা ডাম্পিং করা হবে।

কক্সবাজার :চার দিনের ভারি বর্ষণে কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। পানির নিচে তলিয়ে গেছে অন্তত ২০ হাজার একর ফসলি জমি ও চিংড়ি ঘের। বিভিন্ন স্থানে বেঁড়িবাধ ও কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিছু এলাকায় পানিবন্দি লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে পর্যটন শহর কক্সবাজারের বেশ কিছু এলাকা। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শুক্রবারও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষণে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা, বড়বাজার, গোলদীঘিরপাড়, টেকপাড়া, পৌর এলাকার সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শহরের প্রধান সড়কের বাজারঘাটা ও গোলদীঘিরপাড় এলাকায় কোমরপানি। পানি প্রবেশ করেছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে। চরম দুর্ভোগে পড়েন স্কুল, কলেজ ও অফিসগামী সাধারণ মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, রামু, পেকুয়া, টেকনাফ উপজেলার শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চল চার-পাঁচ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিএমচর ইউনিয়নের কইন্যারকুম ও কুরুল্যারকুম এলাকায় মাতামুহুরী নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মংলা :প্রবল বর্ষণে বন্দরের পশুর চ্যানেলে অবস্থান করা সব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস-বোঝাই ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশ ধরার ট্রলারগুলো সুন্দরবনের কচিখালী, সুপতি, শ্যালা, দুবলা, নারকেলবাড়িয়াসহ বনের ছোট ছোট নদী ও খালে আশ্রয় নিয়েছে।
আলীকদম (বান্দারবান) :টানা চার দিনের ভারি বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলা সদর ও বাজার এলাকা অন্তত পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া পাহাড় ধসে ও বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চকরিয়া-লামা-আলীকদমের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
চকরিয়া (কক্সবাজার) :বিভিন্ন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মাতামুহুরী থেকে নেমে আসা ঢলের পানি। এতে নদীতীরের কয়েক হাজার পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় এসব পরিবারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) :মিরসরাইয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি পানির চাপে ভেঙে গেছে নিজামপুর রেলস্টেশন সড়ক। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওয়াহেদপুর এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার লোক। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা, আধা পাকা সড়ক ও মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

ছাগলনাইয়া (ফেনী) :নিম্নাঞ্চল প্লাবিতসহ রাস্তা, ব্রিজ, নদীভাঙন ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন তিন ইউনিয়নের লোকজন। ভদ্রঘোনায় ব্রিজটি পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় ৯০০ পরিবারের সাড়ে চার হাজার লোকের যাতায়াতের পথটি বন্ধ হয়ে গেছে।
জিয়ানগর (পিরোজপুর) :প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্লুইসগেট ও বাঁধের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ছয় দিনের টানা বর্ষণে এ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শতাধিক কাঁচা বাড়িঘর পানিতে ধসে গেছে। উপড়ে পড়েছে ছোট-বড় শতাধিক গাছ।

হাতিয়া (নোয়াখালী) :উপজেলায় বৃহস্পতিবার প্রচণ্ড ঘূর্ণি বাতাস ও ভারি বর্ষণে ৫০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ও শতাধিক বড় গাছ উপড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ। এ সময় বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ে বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাট প্রধান সড়কে হাতিয়া বাজারের সামনে গাছ উপড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ। এ সময় নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় বয়ারচর টাংকিঘাট এলাকায় দুটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে।
গলাচিপা (পটুয়াখালী) :উপকূলের বেড়িবাঁধবিহীন চর কারফারমা, চর বাংলা, নতুন চর বেষ্টিন, চর নজির, নয়ার চর, চর যমুনা, কলাগাছিয়ার চরসহ মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়িবাঁধবিহীন ৩০টি চরের প্রায় হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ভোলা : মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মধ্যবর্র্তী অর্ধশতাধিক চরাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে ওই সব চরের কয়েক হাজার বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মূল ভূখণ্ডে বসবাসকারীদের জীবনেও নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
উখিয়া (কক্সবাজার) :রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা, মাছকারিয়া, রত্নাপালং ইউনিয়নের সাদৃকাটা, পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা, মোছারখোলা, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বড়বিল, থিমছড়িসহ জালিয়াপালং ইউনিয়নের সমুদ্র উপকূলীয় ২৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

নলছিটি (ঝালকাঠি) : বৃহস্পতিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দপদপিয়া ইউনিয়নের ভরতকাঠি গ্রামের বেশ কিছু বাড়িঘর। ১০ মিনিট স্থায়ী ঘূর্ণিঝড়ে ১০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও পাঁচটি ঘর। উপড়ে পড়েছে দুই শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।