২০১১ সালের কথা। কার্ডিফে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩০৪ রান করেছিল ভারত। জবাবে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নামলে কার্ডিফে বাগড়া দেয় বৃষ্টি।
বৃষ্টি থামলে ইংল্যান্ডের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ ওভারে ২৪১ রান। তবে ১৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। তখনো ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫০ বলে ৭৫ রান। ব্যাটিংয়ে আসেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা জনি বেয়ারস্টো। অভিষেকেই তার খেলা ২১ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে সেদিন ৬ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
চার বছর পর কার্ডিফের সেই ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটালেন বেয়ারস্টো। জস বাটলারের ইনজুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে দলে এসেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২৬ ওভারে ১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। তখনো ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১৭ বলে ১৫০ রান। ব্যাটিংয়ে আসেন বেয়ারস্টো।
চার বছর আগে অভিষেকের মতো এবারও দলের ত্রাণকর্তা হয়ে দেখা দিলেন তিনি, খেললেন ৬০ বলে ৮৩ রানের অপরাজিত ঝোড়ো ইনিংস। আর তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড পেয়েছে ৩ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়। সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি ৩-২ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইংলিশরা।
শনিবার চেষ্টার-লি-স্ট্রিটে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৮৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন মার্টিন গাপটিল। এ ছাড়া কেন উইলিয়ামসন ৫০ ও রস টেলর ৩৭ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেটে নেন বেন স্টোকস। জবাবে ইংলিশরা ব্যাট করতে নামার আগেই বৃষ্টি বাগড়া দেয়।
বৃষ্টি থামলে ইংল্যান্ডের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬ ওভারে ১৯২ রান। কিন্তু ৪৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। তখন স্যাম বিলিংসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের হাল ধরেন বেয়ারস্টো। ষষ্ট উইকেটে ৮০ রান যোগ করেন দুজন। বিলিংস (৪১) যখন বিদায় নেন তখন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫০ বলে ৬৭ রান।
তবে বেয়ারস্টোর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটের দারুণ এক জয় পায় ইংল্যান্ড। ৬০ বলে ১১ চারে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো। ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন আদিল রশিদ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বেয়ারস্টো। আর সিরিজ সেরা হন কেন উইলিয়ামসন।