উদ্বোধনী ধাওয়ানের সেঞ্চুরি, বিজয়ের হাফ

SHARE

dhawannদুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সাবলীল ব্যাটিংয়ে নির্বিঘ্নে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের স্কোরবোর্ড। ইতিমধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিট ধাওয়ান সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুরালি বিজয় হাফসেঞ্চুরি পেরিয়ে ধাওয়ানের পথেই হাঁটছেন।

১১৬ বলে ১২০ রানে ধাওয়ান এবং ৬৯ রানে বিজয় ব্যাট করছেন।

সেঞ্চুরিটা লাঞ্চের আগেই হয়ে যেতে পারত শেখর ধাওয়ানের। বৃষ্টি সেখানে বাধ সাধল বলতেই হয়। বৃষ্টিতে ঘণ্টা তিনেক ম্যাচ বন্ধ থাকার পরও ব্যাটিংয়ে রূপ বদলায়নি ধাওয়ানের। শুরুর মতোই সবলীল ব্যাটিং করে গেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি করেছেন ভারতীয় এই বাঁহাতি ওপেনার। ভারতের ইনিংসের ৩৬তম ওভারে জুবায়ের হোসেনের বলে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ১০১ বলে আসে তার  সেঞ্চুরি। ১১তম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মুরালি বিজয়ও। ৪০ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৮৯ রান।

তার আগে মেঘছায়ায় বুধবার সকালে ফ্লাডলাইটের আলোয় শুরু হয়েছিল ম্যাচ। সারা সকালে আকাশে আনাগোনা করা বৃষ্টিটা অবশেষে নেমেছে ধরায়। ভারতের ইনিংসের ২৩.৩ ওভারের পর বন্ধ হয় ম্যাচ। বৃষ্টির আগে টস জয়ী ভারত বিনা উইকেটে তুলেছে ১০৭ রান। তখন ধাওয়ান ৭৩, মুরালি বিজয় ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ফতুল্লার উইকেটের আচরণ পড়তে ভুল করেছে বাংলাদেশ, এটা বলা কঠিন। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে ভারতীয় ওপেনারদের ব্যাটিং প্রমাণ করেছে ফতুল্লার উইকেট রানের স্বর্গই হবে। আর্দ্র আবহাওয়ার মাঝেও বল হাতে ধাওয়ান-মুরালি বিজয়দের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। যদিও ২৩.৩ ওভারের মাঝেই অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ব্যবহার করে ফেলেছেন ছয় বোলার। বলা ভালো, সবাই দলের স্বীকৃত বোলার। তারপরও উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।

তবে একটি সুযোগ এসেছিল। সেটি খেলা বন্ধ হওয়ার এক বল আগে। তাইজুলের বলে শর্ট মিড উইকেটে ধাওয়ানের ক্যাচ ফেলেছেন শুভাগত হোম। তার আগে ধাওয়ান নির্বিঘেœই ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন।

টি-২০ না বললেও ধাওয়ানদের ব্যাটিং দেখে বলতেই হবে, এটি টেস্টের ব্যাটিং নয়। বরং ওয়ানডে স্টাইলের ব্যাটিং বলাই শ্রেয়। ভারতের রান রেট ৪.৫৫।

আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশ টেস্টটা খেলছে এক পেসার নিয়ে। নতুন বলে পেসার শহীদের সঙ্গী হয়েছিলেন সৌম্য সরকার। যিনি বল করেছেন মাত্র দুই ওভার।