হযরত আয়েশা (রা.)-এর নিকট একজন ইহুদী মহিলা এল এবং তার সামনে কবরের শাস্তি সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা করল। সে বলল, ‘তুমি আল্লাহর কাছে কবরের শাস্তি থেকে পানাহ চাইবে।’
এ ব্যাপারে হযরত আয়েশা (রা.) হুজুর (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলে হুজুর (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, কবরের আযাব সত্য। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘এরপর থেকে হুজুর (সা.) যখনই নামাজ পড়তেন তখনই কবরের আজাব থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন।’ (বুখারী, মুসলিম)
কবরে শাস্তির সাপ : হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেছেন, কাফের ব্যক্তির কবরে নিরানব্বইটি সাপ নিয়োগ করা হবে, যারা কিয়ামত পর্যন্ত তাকে দংশন করতে থাকবে।
ওদের বিষাক্ততার পরিচয় হলো এই যে, যদি ওদের একটি মাত্র পৃথিবীতে একবার নিঃশ্বাস ফেলে তাহলে জমিনে কখনো শাকসবজি জন্মাবে না। (দারেমী)
অর্থাৎ ওদের দংশনের নিদর্শন হলো এই যে, ওই সাপগুলোর কোন একটি যদি পৃথিবীতে নিঃশ্বাস ছাড়ে তাহলে বিষাক্ততার প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে কখনো গাছপালা জন্মাবে না। আধুনিক সমরাস্ত্র যেমন এ্যাটম বোমা ইত্যাদির দিকে তাকালে হুজুর (সা.)-এর বাণী বুঝতে মোটেই বেগ পেতে হবে না।