বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করার এক দিনের মধ্যে খালেদ মাহমুদ জানালেন, ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তিনিই থাকছেন ম্যানেজারের দায়িত্বে।
সোমবার বিসিবি কার্যা লয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
তার দায়িত্ব পালনের অপারগতার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদ বলেন, বিসিবি থেকে তার ব্যক্তিগত বিষয় বাইরে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়টি তিনি বিসিবিকে জানিয়ে বলেছিলেন, এ রকম চলতে থাকলে তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ হবেন।
মাহমুদ জানান, বিসিবির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলোচনায় তাকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, তার ব্যক্তিগত কিছু আর বাইরে যাবে না। এই আশ্বাসে তিনি দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন।
পেশাদার ম্যানেজার না থাকায় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিটি সিরিজেই বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হন বিসিবির কোনো পরিচালক। সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজি না থাকায় ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে ম্যানেজার পাচ্ছিল না বিসিবি। কয়েকজন পরিচালককে বলা হলেও তারা অপারগতা প্রকাশ করেছেন ম্যানজারের দায়িত্ব পালনে।
কে হচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার? পত্র-পত্রিকায় এমন শিরোনামের সংবাদও ছাপা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ আবারও টাইগারদের ম্যানেজার হন বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু সিরিজ শুরুর দুই দিন আগে এক ই-মেইলে তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ম্যানেজারের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমি তো অফিসিয়ালি কিছু বলি নাই।” তবে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা তিনি বোর্ডকে জানিয়েছেন। রোববার রাতেই বিসিবির সিইওকে পাঠানো ই-মেইলে পারিবারিক কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে জানা গেছে, সুজনের সরে দাঁড়ানোর কারণ মূলত, ম্যানেজার হিসেবে তার সম্মানী নেয়া নিয়ে। অতীতে বোর্ড পরিচালকরা ম্যানেজার থাকাকালীন দৈনিক ভাতা’র বাইরে কোনো সম্মানী পেতেন না। কিন্তু সুজন দৈনিক ভাতা’র বাইরেও সম্মানী নিতেন। তার পেছনেও যৌক্তিক কারণ রয়েছে। বোর্ড পরিচালক হলেও ব্যক্তিগত জীবনে একটি ব্যাংকে চাকরি করেন সুজন। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হলে তাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে অবৈতনিক ছুটি নিতে হয়। তাই সুজন সেই ঘাটতি পূরণ করতে বিসিবির কাছ থেকে সম্মানী নিতেন। কেন সুজনকে সম্মানী দেয়া হয়? এ বিষয়ে বোর্ড পরিচালকদের মাঝেও উচাটন ছিল। চারপাশে সমালোচনাও ক্রমশ বাড়ছিল। এ সম্পর্কে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় কয়েকদিন আগে। যার পরিণতি হিসেবে ম্যানেজারের পদ থেকে পদত্যাগই করে বসলেন সুজন।