সেলফি কিভাবে তুলতে হয় সেবিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিনব কোর্স চালু করা হয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে এই কোর্সের নাম হচ্ছে, ‘রাইটিং অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল রিজনিং: আইডেন্টিটি অ্যান্ড ডাইভার্সিটি।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই কোর্সটি অনেক বেশি পরিচিত ‘সেলফি ক্লাস’ হিসেবেই।
এল এ টাইমস নামের একটি পত্রিকা এই খবরটি দিয়েছে।
কোর্সের একজন সহযোগী অধ্যাপক মার্ক ম্যারিনো বলেছেন, এই কোর্সে অনুসন্ধান করা হয় কিভাবে একটি ছবি, বিশেষ করে একজন মানুষের সেলফি, ওই মানুষের পরিচয়, তার লিঙ্গ, জাতীয়তা, তার যৌনতা এবং আর্থসামাজিক অবস্থাকে তুলে ধরে।
এসব ছবি যারা দেখেন তারা এতে কিভাবে এতে সাড়া দেয় সেটাও গবেষণা করে দেখা হয় এই কোর্সে।
ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের তোলা সেলফির পাশাপাশি বিখ্যাত ও সুপরিচিত লোকদের সেলফিও পড়ানো হয় সেখানে।
অনেকেই মনে করেন যে সেলফি হচ্ছে আধুনিক যুগের আত্মপ্রেম।
কিন্তু এই কোর্সের শিক্ষকরা সেটা অস্বীকার করে বলেছেন, মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের এটা হচ্ছে সর্বশেষ মাধ্যম।
“যোগাযোগের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যখন মানুষ আদিম যুগে একটা গুহার দেয়ালে হাতের ছাপ দিয়ে কিছু বোঝাতে চেষ্টা করতো, তারপর চিঠি লেখা আবিষ্কার হলো, তারপর নিজের ছবির প্রিন্ট কিম্বা ব্যক্তিগত দিনলিপি। আর এখন সেটা সেলফি।”
তবে এই কোর্সে লেখাপড়া করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে খুব বেশি আত্মপ্রেমে মেতে না থাকেন সেজন্যে তাদেরকে আরো কিছু কাজেও অংশ নিতে হয়।
সেসবের মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপের জন্যে আবেদন করতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এর ফলে তারা শুধু অনলাইনে সামাজিক নেটওয়ার্কের মধ্যে নিজেদেরকে সীমিত না রেখে বাস্তবের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগেও নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারবে।– বিবিসি