সর্বশেষ বিপিএলের দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। ফিক্সিং বিষে নীল হয়ে তারপর আর মাঠে গড়ায়নি দেশের প্রধান এই টি-২০ টুর্নামেন্ট। ফিক্সিং কলঙ্কের দফারফা হয়ে গেছে। বিপিএল আবারও শুরুর চিন্তা করছে বিসিবি। কিন্তু নতুন ফসকা গেরো তৈরি হয়েছে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি তথা দলগুলোকে নিয়ে।
যেখানে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বলছে, সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিই বাতিল হয়ে গেছে। আর্থিক অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি সবাই ভঙ্গ করেছে। নতুন করেই ডিসেম্বরে বিপিএলের তৃতীয় আসর আয়োজন করতে চায় বিসিবি। নতুনভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি আহ্বান করা হতে পারে। পুরনো দলগুলোও আসার সুযোগ থাকছে। তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে আগে বকেয়া শোধ করে বিসিবিতে আবেদন করতে হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বিসিবির বোর্ড। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যই জানিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
আগের সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিপিএল গভর্নি কাউন্সিলের সদস্য সচিব আই এইচ মল্লিক বলেন, “কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই তাদের অঙ্গীকার রাখেনি। আইনত তাদের আর অধিকার থাকে না। হয়তো তারা থাকবে না। নতুন করে করবো আমরা। ওনারা বাদ যেতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে তাদের চিঠি দিছি, লিগ্যাল নোটিশ দিছি। ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিলের চিঠিও দেওয়া হয়ে গেছে। আপিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা আসেও না, জবাবও দেয় না। প্রয়োজন হলে তাদের ছাড়াই করতে হবে।”
দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস অংশ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে আই এইচ মল্লিক বলেন, “আইনত তারা থাকতে পারছে না। তাদের বিরুদ্ধে একটা রায় এসেছে।” আগের দলগুলোর টিকে থাকার উপায়ও আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বললেন, “আর্থিকভাবে সবাই ব্যর্থ। চুক্তি বাতিলের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে খেলতে পারবে কিনা। একেকবার দল গড়তে তাদেরও অনেক খরচ হয়েছে। তারাও এর অংশ। আমরা নতুন দল নিয়েই করবো। তার আগে কেউ আসলে, টাকা পরিশোধ করে আসতে হবে। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে। আমরা তো বাদ দিতে চাইনি।”
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে ছয়টি দল অংশ নিয়েছিল। সেগুলো হচ্ছে, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস, চিটাগং কিংস, খুলনা রয়েলস, বরিশাল বার্নাস, সিলেট রয়্যালস ও দুরন্ত রাজশাহী। ২০১৩ সালে সপ্তম দল হিসেবে যোগ দেয় রংপুর রাইডার্স।