বিএনপি নিখোঁজ যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমদ। ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ের মিমহ্যান্স হাসপাতাল থেকে তিনি ফোন দিয়েছেন বলে হাসিনা আহমদ দাবি করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা আহমদ বলেন, আমি ১শ’ বছর পরও তার (সালাহ উদ্দিন আহমদ) গলা চিনতে পারবো। তিনিই ফোন দিয়েছেন।
সালাহ উদ্দিন আহমদ ভারতের মেঘালয় শিলংয়ে মিমহ্যান্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি। তাকে ফিরিয়ে আনতে সরকারসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন হাসিনা আহমদ।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি দাবি করেন, সালাহ উদ্দিন আহমদ তাকে ভারতের কোনো এক জায়গা থেকে ফোন দিয়েছেন। তবে ওই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে তিনি বলেন, পরে সব জানানো হবে।
গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হয় বলে তার পরিবার ও দল অভিযোগ করে আসছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই অভিযোগ বরাবরই নাকচ করে। নিখোঁজ বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবকে খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেলে তাকে গ্রেফতার করবে পুলিশ।
সালাহ উদ্দিনের খোঁজ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদনও করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমদ। এ ছাড়া এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে স্বামীর সন্ধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে দুইবার স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনাও সংসদ সদস্য ছিলেন। তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সৈয়দ ইব্রাহিম আহমেদ কানাডায় ও বড় মেয়ে পারমিজ আহমেদ ইকরা মালয়েশিয়ায়, ছোট ছেলে সৈয়দ ইউসুফ আহমেদ ও ছোট মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইসা ঢাকায় স্কলাস্টিকায় পড়ালেখা করে।