ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্রের ক্রমবর্ধমান হুমকির কথা কয়েক মাস ধরে বলে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এসব হুমকি মোকাবিলায় এ ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন তিনি।
ক্ষমতায় বসার পর পর গোল্ডেন ডোম নামের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল তৈরির জন্য নির্বাহী আদেশ জারি করেন তিনি। এবার ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি নকশা নির্বাচনের পাশাপাশি এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তির নামও প্রকাশ করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওভাল অফিসের এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, গোল্ডেন ডোম মহাকাশ-ভিত্তিক সিস্টেম, যা চীন ও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি ঠেকাতে তৈরি করা হচ্ছে।
শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার আগে তা বের করে ধ্বংস করবে গোল্ডেন ডোম। স্পেস ফোর্সের জেনারেল মাইকেল গুইটলাইন এর নেতৃত্ব দেবেন। এই কর্মসূচিকে সামরিক পরিকল্পনার মেরুদণ্ড বলে অভিহিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয় তিন বছরের কম সময়ে আমরা একটি বড় পর্যায়ে পৌঁছে যাব। আপাতত ২ হাজার ৫০০ কোটি দিয়ে কাজ শুরু করছি, ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের খরচ হবে। আড়াই তিন বছরের ভেতর একটা ফল পাবো আশা করি।
প্রেসিডেন্ট জানান, তার প্রশাসন প্রকল্পের রূপরেখার বিষয়ে সিদ্ধান্তে এসেছে। তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাটি চালু হতে পারে।
গোল্ডেন ডোম নির্মাণে এরই মধ্যে ফেডারেল বাজেটে ২৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছেন ট্রাম্প। বিশাল আকারের বাজেট বিলটি আসন্ন সপ্তাহগুলোতে পাসের আশা করছেন কংগ্রেসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা।
এর আগে চলতি মাসে কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার মহাকাশভিত্তিক এ ব্যবস্থা মোতায়েন ও চালু রাখতে আগামী দুই দশকে ব্যয় হতে পারে ১৬১ বিলিয়ন থেকে ৫৪২ বিলিয়ন ডলার।
তবে ট্রাম্পের এই উদ্যোগ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ট্রাম্পঘনিষ্ঠ স্পেসএক্স, পালান্টির ও আন্দুরিলের মতো কোম্পানিগুলোকে এই প্রকল্পের চুক্তিপত্র কীভাবে দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ডেমোক্র্যাটরা।