বিমান ছিনতাইয়ের হুমকি, শাহজালালে নিরাপত্তা জোরদার

SHARE

shahjalal‘আমাদের লোক প্রস্তুত আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদেশগামী একটি বিমান ছিনতাই হবে।’ গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কেন্দ্রীয় এক্সচেঞ্জে এমন উড়ো ফোন যায়। এর পরই বিমানবন্দরজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। পুরো বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করে চলতে থাকে নিরাপত্তা তল্লাশি। দুই ঘণ্টার তল্লাশির পর স্বস্তি ফেরে কর্মকর্তাদের মধ্যে। এমন হুমকির পর বিমানবন্দরের পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন
জাকির হোসেন বলেন, রাত পৌনে ৯টার দিকে এক্সচেঞ্জে ফোন দিয়ে বলা হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদেশগামী একটি বিমান ছিনতাই করা হবে। কারা, কেন, কোথায় থেকে ফোন দিয়েছে_ তা জানতে চাইলে ফোনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তবে এ ধরনের হুমকি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। এরপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবগত করা হয়। পুরো বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হয়েছে।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন বলেন, সম্ভবত এটা ভুয়া ফোন ছিল। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই তা করা হতে পারে। তবুও সবকিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, টেলিফোনে বিমান ছিনতাইয়ের হুমকি পাওয়ার পর বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। এর পরই তল্লাশি শুরু হয়। টার্মিনাল থেকে রানওয়ে পর্যন্ত চলে তল্লাশি। টার্মিনালের গেটগুলো থেকে শুরু করে বিমানের দরজা পর্যন্ত বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হয়। বিদেশগামী ফ্লাইটগুলোও রাখা হয় নজরদারির মধ্যে। সন্দেহভাজন যাত্রীদের পাসপোর্ট থেকে শুরু করে সব যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করা হয়। সতর্ক রাখা হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। পুরো এলাকায় গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানো হয়। তবে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ঘটনাটি ছড়াতে দেওয়া হয়নি। পুরো নিরাপত্তা কার্যক্রম চলে অতি গোপনে। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযানে স্বস্তি ফিরে আসে বিমান কর্মকর্তাদের মধ্যে।
বিমানবন্দর আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের (এপিবিএন) অধিনায়ক রাশেদুল ইসলাম খান জানান, হুমকির বিষয়টি অবগত হয়েই এপিবিএন সদস্যরা আরও সতর্ক হয়। বিমানবন্দরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বলবৎ থাকলেও তা বাড়ানো হয়। হুমকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ হয়েছে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই এটি করেছে। তবে ফোনটি কোথায় থেকে করেছে, তা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা চলছে।