জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের শাস্তি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব মামলা ও যেকোনো অবস্থায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেছে। তারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আবারও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, “বাংলাদেশে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি অত্যাসন্ন হওয়ার প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র ওই বিবৃতি দিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।”
এতে বলা হয়, “সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কোনো অপরাধের প্রতিকার নয় এবং এতে সুষ্ঠু বিচার করতে আদালতের যে ব্যর্থতা তা অপরিবর্তনীয় থেকে যায়। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব রকমের মৃত্যুদণ্ড শিথিল করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।”
একই সঙ্গে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি বাতিলের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে মৃত্যুদণ্ড মুলতুবি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
একাত্তরে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে আসামিপক্ষ। গত বছরের ৩ নভেম্বর সোহাগপুর হত্যাকাণ্ডের দায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে ৫ মার্চ তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন কামারুজ্জামান। দুই দফা শুনানি পেছানোর পর গত রোববার আপিল বিভাগে ওই আবেদনের শুনানি হয়।