তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কেসি কার্টির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৩০৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এই স্কোরও জয় এনে দিতে পারেনি ক্যারিবীয়দের। কার্ডিফে জো রুটের ঐতিহাসিক শতকে ভর করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ—রানের খাতা না খুলেই ফেরেন জুয়েল অ্যান্ড্রু। তবে এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় ক্যারিবীয়রা। কেসি কার্টি ও ব্রেন্ডন কিং গড়েন ১৪১ রানের জুটি। কিং করেন ৫৯ রান। অপরপ্রান্তে একাই ইনিংস টেনে নিয়ে যান কার্টি।
১৩টি চারে ১০৫ বলে ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন কার্টি, যা ছিল তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। শেষ পাঁচ ম্যাচে এটি তার তৃতীয় শতক। তবে তার বিদায়ের পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৪ ওভারে অলআউট হয় তারা। ইংল্যান্ডের হয়ে সাকিব মাহমুদ ছিলেন সেরা বোলার, ৯.৪ ওভারে মাত্র ৩৭ রানে শিকার করেন তিন উইকেট।
৩০৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। ওপেনার জেমি স্মিথ ও বেন ডাকেট দুজনেই ‘ডাক’ মেরে ফেরেন। তবে তৃতীয় উইকেটে হ্যারি ব্রুক ও জো রুট গড়ে তোলেন ৮৫ রানের জুটি। ৩৬ বলে ৪৭ রান করে আউট হন ব্রুক। এরপর আবারও ধস নামে ইংল্যান্ড ইনিংসে—রানের খাতা খুলতে না পেরে বিদায় নেন অধিনায়ক জস বাটলার।
চতুর্থ উইকেটে জ্যাকব বেথেলকে সঙ্গে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে সামাল দেন রুট। এরপর উইল জ্যাকসের সঙ্গে গড়ে তোলেন ১৪৩ রানের জুটি, যা কার্যত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। জ্যাকস ৫৮ বলে ৯৯ রানে আউট হন মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করে।
অন্যদিকে জো রুট খেলেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। ৯৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত ১৩৯ বলে ১৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন রুট, ইনিংসটি সাজানো ছিল ২১টি চার ও দুটি ছক্কায়। আদিল রশিদকে সঙ্গে নিয়ে ৭ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন রুট।
এই ইনিংসের মাধ্যমে রুট এক ঐতিহাসিক মাইলফলকও ছুঁয়েছেন—হয়েছেন ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৭ হাজার রানের ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি, যা অর্জন করেছেন বিশ্বের মাত্র ৪৬ জন ব্যাটসম্যানের পর।
এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড। এখন তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।