ইতালির সিসিলি দ্বীপে অবস্থিত ইউরোপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট এটনা-তে হঠাৎ ভয়াবহ ধস ও অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। আগ্নেয়গিরির দক্ষিণ-পূর্ব অংশ ধসে পড়ে সৃষ্টি হয় বিশাল বিস্ফোরণ এবং তার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দেয় গরম গ্যাস, ছাই ও পাথরের ঢল, যাকে বলা হয় পাইরোক্লাস্টিক ফ্লো।
সোমবার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে তথ্যটি জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ইতালির ভূকম্পন ও আগ্নেয়গিরি গবেষণা সংস্থা INGV জানিয়েছে, ধসের ফলে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে এবং কয়েক কিলোমিটার উচ্চতায় ছাইয়ের মেঘ আকাশে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধস ও বিস্ফোরণের সঙ্গে উচ্চমাত্রার কম্পনও রেকর্ড করা হয়েছে, যা অগ্ন্যুৎপাত আরও বাড়ার ইঙ্গিত বহন করছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, গর্ত থেকে ছুটে বের হচ্ছে উত্তপ্ত লাভা ফোয়ারা। এর পাশাপাশি বাড়ছে আগ্নেয় কম্পনের মাত্রা।
যদিও এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়নি, তবে আশপাশের লোকজনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে—অগ্ন্যুৎপাত শুরু হতেই পর্যটকরা আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাউন্ট এটনায় অগ্ন্যুৎপাত ও কম্পনের মাত্রা গত কয়েক মাস ধরেই বাড়তির দিকে। এর আগেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল ও মে মাসে জোরালো অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে।
পাইরোক্লাস্টিক ফ্লো: অতি উচ্চ তাপমাত্রার ছাই, গ্যাস ও ছুটে আসা পাথর মিশ্রিত ঢল। এটি ঘণ্টায় শত শত কিমি গতিতে চলতে পারে এবং অত্যন্ত প্রাণঘাতী।
ভূমি ধস: আগ্নেয়গিরির একটি অংশ ধসে পড়লে চাপের সৃষ্টি হয়, যা বিস্ফোরণ ঘটাতে সহায়ক।
কম্পনের মাত্রা: এই ধরনের উচ্চমাত্রার আগ্নেয় কম্পন ভবিষ্যতের আরও ভয়াবহ বিস্ফোরণের আশঙ্কা তৈরি করে।
মাউন্ট এটনা সম্পর্কে সংক্ষেপে
অবস্থান: সিসিলি দ্বীপ, ইতালি
উচ্চতা: প্রায় ৩,৩০০ মিটার
বিশেষত্ব: ইউরোপের সবচেয়ে সক্রিয় ও দৃশ্যমান আগ্নেয়গিরি
শেষ বড় অগ্ন্যুৎপাত: ২০২4 সালের মে মাস